ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ভবনে ফাটল

প্রকাশিত: ০০:৪৯, ২৫ জুলাই ২০১৭

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ভবনে ফাটল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুটি ভবনের অর্ধশত কক্ষ ঝুঁকিপূণ হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। টানা বর্ষণে ওই ভবন গুলোর ছাদ চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে মুল্যবান আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজসহ গুরুত্বপূণ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। ভবনের ছাদ ও পিলারে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাঁটল। কয়েকটি কক্ষ অধিক ঝুকিপূর্ণ ও অযোগ্য হওয়ায় ঝুকিপূর্ণ কক্ষগুলোর মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যায়গা না থাকায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তা কক্ষে পলিথিন মুড়ি দিয়ে দাপ্তরিক কাজ করছেন। এ অবস্থায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে ভবন গুলোর সংঙ্কার করা না হলে বড় ধারণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখ গেছে, অধিকাংশ কক্ষগুলোর ছাঁদের পলেস্তার খসে পড়ছে এবং ছাঁদ চুইয়ে পানি পড়ে আসবাবপত্র ভিজে যাচ্ছে। গনপূর্ত বিভাগের পরামর্শে জেলা প্রশাসন অধিক ঝুকিঁপূর্ন কয়েকটি কক্ষ থেকে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এঅবস্থায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় ও আদালত এবং রাজস্ব শাখা, জুডিশিয়াল মুন্সি খানাসহ অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদ বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুটি দ্বিতল ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ছে। বৃষ্টির পনিতে বিভন্ন দফতরের মূল্যবান নথি পত্রসহ আসবাব, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক কর্মকর্তারা বাধ্য হয়ে পলিথিন মুড়ি দিয়ে কাজ করছেন। এতে একদিকে যেমন দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে একই সাথে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জন সাধারণ। এঅবস্থায় দ্রুত নতুন ভবন নির্মান অথবা ঝুকিপূণ ভবনগুলো সংষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। গনপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে ভবনটির পরিস্থিতি ভাল না। এই ভবন মেরামত করা যাবে না। পুরো ভবনটি নতুন করে করতে হবে। আমরা একটি প্রকল্প তৈরী করে পাঠিয়েছি।
×