ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দঃ চীন সাগরের আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৯ জুলাই ২০১৭

দঃ চীন সাগরের আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান

দুটি ইউএস বি-ওয়ান বোমারু বিমান বৃহস্পতিবার পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত জলসীমার ওপর দিয়ে উড়ে গেছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও চীনের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের মধ্যে বিমানগুলো জাপানী জঙ্গী বিমানের সঙ্গে এক যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। খবর সিএনএন অনলাইনের। বিমানগুলো পূর্ব চীন সাগরে দুটি জাপানী এফ-ফিফটিনের সঙ্গে এ সহযোগিতামূলক মিশনে অংশ নেয়। জাপান ও চীনÑ দুটি দেশেরই দাবি রয়েছে এ সাগরে। মার্কিন প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের এক বিবৃতি বলা হয় দুটি সহযোগী দেশের মধ্যে যৌথ মহড়া ক্রমবর্ধমানভাবে নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এবারের মহড়ায় প্রথমবারের মতো প্যাসিফিক কমান্ডে ইউএস বি-ওয়ান বোমারু বিমান অংশ নিল। প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের বোমারু বিমান মহড়া বিষয়ক প্রধান মেজর রাইয়ান সিম্পসন বলেছেন, আমাদের সহযোগীদের সঙ্গে রাতে বিমান উড্ডয়ন ও প্রশিক্ষণ নিরাপদে ও ফলপ্রসূভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের জন্য তা এক গুরুত্বপূর্ণ সামর্থ্য প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, আমাদের সকল সহযোগীর সঙ্গে বাস্তবসম্মত মহড়া পরিচালনায় আমাদের সামর্থ্যরে এটা এক সুস্পষ্ট প্রদর্শন। জাপানী এয়ার সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্সের দাবি, এ মিলনের লক্ষ্য কোন বিশেষ দেশের প্রতি কোন বার্তা পাঠানো নয়, যদিও এর আগে পূর্ব চীন সাগরে চীনের জাহাজ ও যুদ্ধবিমানের তৎপরতা দেখা গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস এ বছরের শুরুতে জাপান ও এর বিতর্কিত দ্বীপগুলো রক্ষায় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ইউএস বি-ওয়ান বোমারু বিমানগুলো যৌথ মহড়া শেষে গুয়ামে এ্যান্ডারসন বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার পূর্বে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা অনুশীলনের জন্য দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সার্বভৌমত্বের দাবির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে নিয়মিত এবং এ কারণে দুটি শক্তিশালী দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে কয়েক বছর ধরে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়ার শুক্রবার বলেছেন, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটি আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু এ বিশেষ বিষয়টি সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। তিনি বলেন, চীন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সব সময়ই নৌ চলাচল ও সাগরের ওপর দিতে বিমান চলাচলে অন্য দেশের স্বাধীনতার প্রতি মর্যাদাশীল ও তা সমর্থন করে। কিন্তু আমরা সামরিক শক্তির আক্রমণাত্মক প্রদর্শনীর দৃঢ়তার সঙ্গে বিরোধিতা করছি। কোন কোন দেশ নৌ ও বিমান চলাচলের স্বাধীনতার অজুহাত দেখিয়ে চীনের সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
×