ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত, সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত হবে

দেশজুড়ে এ্যাপস ভিত্তিক পরিবহন সেবার বৈধতা আসছে

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৬ জুলাই ২০১৭

দেশজুড়ে এ্যাপস ভিত্তিক পরিবহন সেবার বৈধতা আসছে

রাজন ভট্টাচার্য ॥ এ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবার বৈধতা দিতে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। সকলের মতামত তুলে ধরতে ইতোমধ্যে খসড়া নীতিমালা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। যে কেউ অনলাইনে মতামত দিতে পারবেন। ১৩ জুলাই পর্যন্ত প্রথম পর্বের মতামত নেয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন এই পরিবহন সেবার নাম দেয়া হয়েছে ‘রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭’। মোটর কার, জিপ, মাইক্রোবাস, অটোরিক্সা, এ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল এই পাঁচ ধরনের যান সেবা দিতে পারবে। এ সংক্রান্ত নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সকলের মতামত নেয়া শেষে তা চূড়ান্ত করা হবে। এদিকে নীতিমালায় যাত্রী নিরাপত্তা ও ভাড়া নৈরাজ্য রোধে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো যুক্ত করার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় অংশীজন ও অন্য মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে খসড়াটি অনুমোদন করলে তা সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে। সূত্র বলেছে, বিআরটিএ’র খসড়া এই নীতিমালা ২৪ জুন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ১৬ জন অনলাইনে মতামত দিয়েছেন। ঢাকায় ইতোমধ্যে উবার, পাঠাও, চলোসহ বিভিন্ন নামে স্মার্টফোনের এ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীসেবা চালু হয়েছে। নতুন আরেকটি প্রতিষ্ঠান হ্যালো এখন যাত্রা শুরুর অপেক্ষায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিক জনকণ্ঠকে বলেন, বিআরটিএ’র খসড়া নীতিমালা আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। সাধারণ মানুষের মতামতের জন্য নীতিমালাটি ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সবাই দেখছেন। মতামত দিচ্ছেন। আমরা এক মাস সকলের মতামত নেব। সেপ্টেম্বরে নীতিমালা চূড়ান্ত করার কথা জানান তিনি। বিআরটিএর হিসাবে, বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩০ লাখের কিছু বেশি। রাজধানী ঢাকায় ১১ লাখ। এর অর্ধেকের বেশি মোটরসাইকেল। আর রাইডশেয়ারিং সার্ভিস হিসেবে পরিচালনা করা যাবে এমন যান ৮৬ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলের মতো ছোট ছোট মোটরযানের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়ক ও নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তদুপরি মহানগরীতে যাত্রী চাহিদার তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় স্বাভাবিক যাত্রীসেবা ব্যাহত হয়। বিশ্বের বহু দেশে ইন্টারনেট ভিত্তিক সফটওয়্যার এপ্লিকেশনের মাধ্যমে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস চালু করে ব্যক্তিগত গাড়ি হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। এ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবার জন্য নীতিমালা করার উদ্যোগ নেয়া হলেও সরকার এখন এসব সেবার ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে না। তবে যাত্রী-অসন্তোষ সৃষ্টি হলে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, রাইডশেয়ারিং সেবায় চালককে সব আইন মেনে চলতে হবে। স্বল্প দূরত্বেও যেতে হবে। যাত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে। মোটরযানের যাবতীয় হালনাগাদ দলিলাদি এবং চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে। নীতিমালার কোন শর্ত লঙ্ঘন হলে রাইডশেয়ারিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের মালিকের সনদ বাতিল এবং দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। নীতিমালার আইনানুগ বিষয়ে আরও রয়েছে, গাইড লাইনের এক বা একাধিক শর্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোন রাইডশেয়ারিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনলিস্টেমেন্ট সার্টিফিকেট বাতিল ও রাইডশেয়ারিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যান্য পরিবহনের মতো এ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবায় সরকারীভাবে ভাড়া নির্ধারণ করার দাবি জানিয়ে নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া না হলে প্রতিষ্ঠানগুলো সারাদেশে ভাড়া নৈরাজ্য চালাবে। সাধারণ যাত্রীদের পকেট থেকে টাকা কেটে নেয়া হলেও কারও কিছুই করার থাকবে না। তিনি যাত্রীবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর গণপরিবহনে নৈরাজ্য চলছে। উবারসহ এ্যাপভিত্তিক সেবা সম্প্রসারণ হলে গণপরিবহনে সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়বে। ইতোমধ্যে অটোরিক্সা চালক-মালিকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। তবে নীতিমালাটা হতে হবে যাত্রীবান্ধব। এসব সেবাও যাতে ট্যাক্সিক্যাব ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মতো না হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত মোটরযানকে ভাড়ায় চালানোর বিষয়ে দেশে কোন বিধি বিধান না থাকায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ধারা-৫৩ এর ক্ষমতাবলে পরীক্ষামূলকভাবে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করা হচ্ছে। সেবা পরিচালনার শর্ত খসড়া নীতিমালায় শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এই সেবা চালু করার আগে রাইডশেয়ারিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ যারা এ্যাপস তৈরি করবে এবং যানবাহনের মালিককে বিআরটিএ থেকে সনদ নিতে হবে। এরপর রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান, গাড়ির মালিক ও চালকের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করতে হবে। খসড়া অনুসারে, এ ধরনের সেবা চালু করতে হলে অবশ্যই কমপক্ষে ২০০ গাড়ির একটি ফ্লিট থাকতে হবে। কোম্পানিকে টিআইএন সনদধারী হতে হবে। ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি হলে একজন একটি এবং ভাড়ায় চালিত হিসেবে নিবন্ধন নেয়া গাড়ি হলে একাধিক এই সেবায় দেয়া যাবে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি নিবন্ধনের কমপক্ষে এক বছর পর এই সেবায় নিয়োগ করা যাবে। হালনাগাদ রুট পারমিট না থাকলে কোন গাড়ি সেবা দিতে পারবে না। তৃতীয় অনুচ্ছেদে ১১টি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব রাইডশেয়ারিং প্রযুক্তি কোম্পানি এই সেবা নিরাপদ, সুশৃঙ্খল, নির্বিঘœ ও সহজলভ্য করবে। একটি ভ্রমণের সম্ভাব্য ভাড়ার পরিমাণ যাত্রার শুরুতেই যাত্রীরা যাতে জানতে পারে, সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। ভাড়া ও দূরত্ব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাত্রী যাতে একটি ইলেকট্রনিক রেকর্ড এসএমএসের মাধ্যমে পেতে পারে, এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে অন্তত তিন মাস সংরক্ষণ করতে হবে। যাত্রীরা যাতে চালক, গাড়ি ও তার ভ্রমণ বিষয়ে মতামত/অভিযোগ বিআরটিএ ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে জানাতে পারে, সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। খসড়া নীতিমালায় একই যাত্রায় একের অধিক যাত্রী বহনেরও সুযোগ রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আসন ফাঁকা থাকলে যাত্রীরা ভ্রমণ পথে নেটওয়ার্কের মধ্যে সর্বোচ্চ দুজনকে সহযাত্রী করতে পারবে। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে। এতে ১৩টি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বিআরটিএর একজন পরিচালক বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ট্যাক্সিক্যাব এবং সিএনজিচালিত অটোরিক্সা খাতে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা যায়নি। শুরুতেই অনিয়ম, চাহিদার তুলনায় সংখ্যায় কম হওয়া এবং আইনের প্রয়োগে দুর্বলতার কারণে অটোরিক্সায় দৌরাত্ম্য চলছে। এছাড়া বাস-মিনিবাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নৈমিত্তিক। সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে নৈরাজ্য। নীতিমালার পর এ্যাপভিত্তিক সেবা বাড়লে গণপরিবহনে অনেক বিকল্প হবে এবং প্রতিযোগিতা বাড়বে। উবার ঢাকায় চালুর ঘোষণা দেয়া হয় গত ২২ নবেম্বর। তিনদিন পরই বিআরটিএ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উবারকে বেআইনী ও অবৈধ ঘোষণা করে। তবে এতে উবারের সেবা বন্ধ থাকেনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক চলে। যাঁরা এর মধ্যেই উবার ব্যবহার করেছেন তাঁরা বলছেন, ঢাকায় এ রকম ব্যবস্থা থাকা উচিত। কয়েকজন মন্ত্রীও উবারের পক্ষে বক্তব্য দেন। এরপরই এ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবাদানকারী দুটি প্রতিষ্ঠান উবার এবং শেয়ার এ মোটরবাইককে (স্যাম) আলোচনার জন্য বিআরটিএতে ডাকা হয়। এখন নীতিমালা তৈরির জন্য খসড়া করল বিআরটিএ। জানতে চাইলে বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) নুরুল ইসলাম বলেন, মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে একটি খসড়া তাঁরা তৈরি করেছেন। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার মন্ত্রণালয়ের। এ্যাপভিত্তিক পরিবহনে যাত্রী সেবার বিষয়ে ইতোবাচক মনোভাব পোষণ করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেও। তিনি শুরু থেকেই বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে আসছেন। নীতিমালায় মোট নয়টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। যার মধ্যে পরিবহন সেবা পরিচালনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গ্রহণযোগ্য মতামত নীতিমালায় যুক্ত করা হবে। এরপরও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেও মতামত নেয়া হবে। এরপর তা চূড়ান্ত করার কথা জানিযেছেন তারা। চালকদের খারাপ আচরণের শাস্তি চান গ্রাহকরা বিআরটিএ-এর খসড়া নীতিমালা ইতোমধ্যে সকলের মতামতের জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই নিজের মতামত তুলে ধরতে পারবেন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত মতামত দিয়েছেন ১৬ জন। এর মধ্যে ইসমাইল আলী লিখেছেন, ভাড়ায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা জরুরী। চালকদের খারাপ ব্যবহারের শাস্তিরও বিধানও থাকা উচিত। একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার না করলেই নয়। গত শনিবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ২০ মিনিটের মধ্যে তিন দফা উবারের সেবা গ্রহণের চেষ্টা করি। প্রতিবারই গন্তব্য ও যাত্রা শুরুর স্থান একই ছিল। কিন্তু একবার ভাড়া দেখাল ১৯৯ টাকা, পরের বার ২১২ টাকা ও শেষবার ২৩০ টাকা। কিন্তু কোনবারই চালক যেতে রাজি হয়নি, নানা অজুহাতে। এভাবে ইচ্ছামতো ভাড়া চার্জ করা ও চালকের ইচ্ছামতো গন্তব্যে যেতে চাওয়াটা এ সেবাটিকে অটোরিক্সার মতো পরিণত হবে। জামান নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় চালক যাত্রীকে উঠানোর অনেক আগেই এ্যাপস এ স্টার্ট বাটনে চাপ দিয়ে রেখে দেয়। ফলে বিল বেশি আসে। এমন নিয়ম করতে হবে যাতে ড্রাইভার যাত্রীকে দেখিয়ে তারপর স্টার্ট বাটনে চাপ দেয়। এছাড়া কত টাকা বিল আসছে তা যেন যাত্রীর মোবাইলে ও সময় সময় দেখায়’। সেবার বৈধতা দেয়ার জন্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে সৈয়দ আয়নুল হুদা চৌধুরী ছয়টি মতামত উল্লেখ করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, যেহেতু ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ ১ বছর সেহেতু রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের মেয়াদ এক বছর হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া প্রাইভেট কারের ক্ষেত্রে চালকের পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা, যেহেতু অর্থ লেনদেন এ্যাপস এর মাধ্যমে হবে, সেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনভল্ভমেন্ট অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও ঢাকার বাইরে মেট্রো ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মেট্রো ও জেলা শহরের ক্ষেত্রে রাইডশেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যু করা যেতে পারে, রাইডশেয়ারিং কোম্পানির এনলিস্টমেন্ট ফি পাঁচ লাখ এবং নবায়ন ফি ৫০ হাজার টারা করা প্রয়োজন। অনুপম কুমার বাড়ৈ লিখেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি একদিকে যেমন গ্রাহকদের সুবিধা দিচ্ছে, অন্যদিকে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। অন্য আরেকজন লিখেছেন, সবার প্রথম ভাড়া নির্দিষ্ট করতে হবে সরকার থেকে, ভোক্তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকার আশপাশে শহরে চলার অনুমতি দেয়া হোক।
×