ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করায় দ্য ইকোনমিস্ট’র কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে সরকার

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২১ জুন ২০১৭

বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করায় দ্য ইকোনমিস্ট’র কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে সরকার

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করায় যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘দ্য ইকোনমিস্ট’র কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। ওই প্রতিবাদ পত্রিকাটিতে ছাপাও হয়েছে। মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা এবং গণতান্ত্রিক মূলধারা নিয়ে ‘শেখ হাসিনার বোকামি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রেক্ষিতে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। যেটা ইকনোমিস্টের চলতি সংখ্যায় ছাপনো হয়েছে। প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ আইনের শাসনে চলে। এখানে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী যে কোন অপরাধীদের ধরতে বদ্ধপরিকর। প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মুসলিম। তবে তার সরকার ধর্মনিরপেক্ষ। সে কারণেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সহনশীল ও গণতান্ত্রিক মূলধারায় এনেছে। ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে জামায়াতে ইসলামীকে দমনের বিষয়ে উল্লেখ করে প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। তবে মনে রাখতে হবে কেউই আইনের উর্ধে নয়। প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ২০১৪ সালে নিরপেক্ষ ও উন্মুক্ত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। বিএনপি ওই নির্বাচন বর্জন করে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিএনপি সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, নির্বাচনকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে না। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার ইকনোমিস্ট পত্রিকাটি বাংলাদেশ সরকারের বিষয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। মূলত যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই ইকোনমিস্টের ভুয়া খবর প্রকাশের শুরু।
×