ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ মেয়র সাদেক খানের

গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের কারণ বহু বছরের অবহেলা

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২০ জুন ২০১৭

গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের কারণ বহু বছরের অবহেলা

ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের আগুন ‘প্রতিরোধযোগ্য দুর্ঘটনা’ ছিল। স্থানীয় কাউন্সিল ও বিভিন্ন সময়কার সরকারের ‘বহু বছরের অবহেলার’ কারণে তা হয়েছে বলে লন্ডনের মেয়র সাদেক খান এ অভিযোগ করেছেন। খবর বিবিসি অনলাইনের। আগুনে হতাহত ব্যক্তিদের সেবাদানকারী একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে মেয়র সাদেক খান বলেন, এ অগ্নিকা- একটি জাতীয় দুর্যোগ। তাই এক্ষেত্রে জাতীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এদিকে কেনসিংটন ও চেলসি কাউন্সিলের নেতারা জানিয়েছেন, গত বুধবার আগুন লাগার পর থেকে কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে কেনসিংটন ও চেলসি কাউন্সিল। মেয়র আরও বলেন, লোকজন ক্ষুব্ধ। এটা শুধু অগ্নিকা-ের পর কাউন্সিল ও সরকারের আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ার জন্য নয় বরং বছরের পর বছর কাউন্সিলের অবহেলার কারণে হয়েছে। তাদের কর্মকা-ে মনে হচ্ছে, সাধারণ জনগণের উদ্বেগের জায়গাটা কাউন্সিল ও সরকার বোঝে না বা তারা তোয়াক্কা করে না। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সরকারী কর্মীরা তেমন সহায়তা করেননি বা তথ্যও দেননি। এরই মধ্যে একটি গ্রুপ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই বেদনাদায়ক ঘটনার পর ভাড়াটে ব্যবস্থাপনা সংস্থার কোনও কর্মকা- না দেখে তারা এর সমালোচনা করেছে। তাদের ভাষ্য, এস্টেট ব্যবস্থাপনার প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেক দিনের যে ক্ষোভ, তা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। এই ব্যবস্থাপনার অবহেলার কারণে এই অগ্নিকা- ঘটেছে। কেনসিংটন ও চেলসি কাউন্সিলের নেতা নিকোলাস পাজিট-ব্রাউন বলেন, তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের বিষয়টি বুঝতে পারছেন। জনগণের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষও জানতে চায় কেন এই আগুন লাগল এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা বাড়িঘর হারিয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার পাঁচ শ’ পাউন্ড দেয়া হবে। প্রত্যেক বাড়ির মালিক নগদ পাঁচ শ’ পাউন্ড ও পাঁচ হাজার পাউন্ড তাদের এ্যাকাউন্টে দেয়া হবে। গত শুক্রবার এই অগ্নিকা-ে সহায়তার জন্য ৫০ লাখ পাউন্ডের জরুরী সহায়তা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর লন্ডনের নর্থ কেনসিংটন এলাকার গ্রেনফেল টাওয়ারের ২৪ তলা ভবনে আগুন লাগে। ভবনটির ১২০টি ফ্ল্যাটে ছয় শ’র বেশি লোক বাস করত বলে ধারণা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ হতে পারে।
×