স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সরকারীভাবে নির্ধারিত বেতনসহ ১১ দফা দাবিতে নগর ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা। এ সময় তারা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। একই সঙ্গে নগরীর শালবাগানে রাসিকের গ্যারেজ এবং শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানায় ও উদ্যানেও তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এতে গাড়ি নিয়ে নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি মেয়রসহ রাসিকের কর্মকর্তারা। তবে আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে দাবি মানার আশ^াসে বেলা ১টার দিকে তালা খুলে দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়। সকাল ৯টার দিকে তারা নগর ভবনের প্রধান ফটক, শালবাগানে রাসিকের গ্যারেজ এবং শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চিড়িয়াখানায় ও উদ্যানে তালা ঝুলিয়ে দেয় কর্মচারীরা।
১২টার দিকে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাসিকের কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তারা। পরে তাদের দাবি আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে মেনে নেয়ার আশ^াস দেয়া হয়। পরে তারা রাসিকের প্রধান ফটকের তালা খুলে দেয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি দুলাল শেখ বলেন, গত বছরের ২৪ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে সিটি কর্পোরেশনের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত দক্ষ নিয়মিত কর্মচারীদের দৈনিক ৫০০ টাকা এবং অদক্ষ অনিয়মিত কর্মচারীদের প্রতিদিন ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করে।
কিন্তু গত এক বছরেও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্মচারীদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করেনি। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের সরকারী নিয়মে বেতন দেয়া হলেও রাসিকে ৩৩০ টাকা করে দেয়া হয়। এতে রাসিকের দুই হাজার ২০০ কর্মচারী সরকারী নিয়মে তাদের মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে বলেন তিনি। দুলাল শেখ আরও বলেন, গত ১২ জুন থেকে রাসিকের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তারা মানববন্ধন, সমাবেশ ও স্মারকলিপি দিয়ে মেয়রের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেছেন। দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধিসহ সকল বকেয়া পাওনা পরিশোধ। রাসিকের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের চিঠি আমরা পেয়েছি। কিন্তু গেজেট প্রকাশ হয়নি। এছাড়াও ৮ ঘণ্টা কাজের নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির কোন এখতিয়ার আমাদের নেই।