ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে তদন্তে গিয়ে প্রকৌশলী ও ইউপি সদস্য লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৪ জুন ২০১৭

মানিকগঞ্জে তদন্তে গিয়ে প্রকৌশলী ও ইউপি সদস্য লাঞ্ছিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ১৩ জুন ॥ ঘিওর উপজেলার সিংজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মারপিট করেছে চেয়ারম্যানের লোকজন। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পিআইও অফিস) ও ৫নং ওয়ার্ডের এক সদস্যকেও মারপিট করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে সিংজুড়ি বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঘিওর থানায় মামলা করা হয়েছে। অপর দিকে ঘিওর উপজেলা প্রশাসন থেকেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, সিংজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ আজিজের বিরুদ্ধে কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্প, ভিজিডি কার্ড বিতরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন স্থানীয় জনসাধারণ। জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। মঙ্গলবার ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী ইশতিয়াক আহম্মেদ মুকুল তদন্ত করতে যান। তদন্ত শেষে মোটরসাইকেলে তিনি ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল বাকেজকে নিয়ে ফিরে আসার সময় চেয়ারম্যান আঃ আজিজের ছেলে দুলাল ও তার সহযোগী শহিদ, সুবজসহ কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। লাথি দিয়ে ইশতিয়াক আহম্মেদ মুকুলকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়া হয়। এ সময় হামলাকারীরা ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল বাকেজকে বেদম মারপিট করে। তিনি দৌড়ে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। এদিকে অনিয়মের তদন্তের খবর পেয়ে দৈনিক সংবাদের ঘিওর প্রতিনিধি রামপ্রসাদ সরকার দিপু, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি শফি আলাম এবং মোহনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি সালাউদ্দিন রিপন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করতেই তাদের ওপরেও হামলা হয়। হামলাকারীরা সালাউদ্দিন রিপনের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মারধর করে। সাংবাদিক শফি আলম জানান, চেয়ারম্যান আঃ আজিজের উপস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। তার ছেলে শহিদসহ কয়েকজন এই হামলায় সরাসরি যোগ দেন। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা খোন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সিংজুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। সিংজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সাংবাদিক এবং সরকারী কর্মকর্তাকে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেন। শিমুল হত্যার অভিযোগপত্র গ্রহণ নিজস্ব সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, ১৩ জুন ॥ গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরে সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রটি ৪২ দিন পর মঙ্গলবার আদালত আমলে নিয়েছে। গত ২ মে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দাখিলের পর ১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও বিভিন্ন কারণে অভিযোগপত্রটি আদালত গৃহীত না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়। অবশেষে মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে সংশ্লিষ্ট আদালত ওই অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়েছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আগামী ১০ জুলাই। ইতোপূর্বে এই মামলার ২ আসামি হালিমুল হক মিরুর ভাই মিন্টু ও পিন্টু জামিনে আছেন।
×