ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ার কাছে পরমাণু সহযোগিতা চান মোদি

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২ জুন ২০১৭

রাশিয়ার কাছে পরমাণু সহযোগিতা চান মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন। আশা করা হচ্ছে সম্মেলনে দু’পক্ষই একটি চুক্তিতে উপনীত হবেন। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার সহযোগিতায় ভারতের সবচেয়ে বড় পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্রে সর্বশেষ দুটি ইউনিট গড়ে তোলা হবে। খবর ফার্স্ট পোস্ট অনলাইনের। রাশিয়ায় মোদির আগমন উপলক্ষ্যে টুইট করেন, ঐতিহাসিক শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছলাম। ফলপ্রসূ সফরের লক্ষ্য ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে সংহত করা। সম্মেলন শুরুর আগে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় কর্মকর্তারা পিটিআইকে বলেন, তামিলনাড়ু রাজ্যের কুন্দানকুলাম এলাকার পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের পাঁচ ও ছয় নং ইউনিটটি তৈরি করতে শেষ মুহুর্তের চূড়ান্ত আলোচনা ও চুক্তির ভাষা নির্ধারণের কাজ চলছে। ভারতের নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল) ও রাশিয়ার পরমাণু কমপ্যাক্টের নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোজোটমের একটি সাব-সিডিয়ারি কোম্পানি এ্যাটোমস্ট্রয়েক্সপোর্ট চুল্লিটি তৈরির কাজ করছে। উভয়পক্ষ আশা প্রকাশ করেছে, বিস্তৃত পরিসরে ১২টি চুক্তির মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রেলপথ, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও অন্যান্য ব্যবসায়িক খাতের সঙ্গে বেসরকারী পক্ষও যুক্ত হবে। যদি সম্মেলনে পারমানবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তবে তা হবে ২০১৬ সালের অক্টোবরে গোয়ায় অনুষ্ঠিত শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আট মাস পর দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পারমানবিক বিদ্যুতকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের প্রতিটির বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা হবে এক হাজার মেগাওয়াট। ফলে ভারতের বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে ২২টি পারমানবিক চুল্লির বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ছয় হাজার সাত শ’ ৮০ মেগাওয়াট। শীর্ষ প্রবৃদ্ধির মর্যাদা হারাল ভারত এক ধাক্কায় বিশ্বের দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির দেশের তকমা হারাল ভারত। জানুয়ারি থেকে মার্চের হিসেবে দেশের জাতীয় আয় বা জিডিপি বাড়ল ৬.১ শতাংশ হারে, যা গত দুই বছরের বেশি সময়ে সব চেয়ে কম। যে দেশটিকে হারিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল ভারত, সেই চীনের অর্থনীতি এই একই সময়ে এগিয়েছে ৬.৯ শতাংশ হারে। ২০১৫ সালে প্রথম বৃদ্ধির হারে চীনকে পেছনে ফেলে এই শিরোপা পায় ভারত। বুধবার প্রকাশিত সরকারী হিসেবে নবেম্বরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তেরই ছাপ পড়েছে বলে ইঙ্গিত বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, গত বছর ৮ নভেম্বর ৮৭ শতাংশ নোট বাতিলের জেরে চাহিদায় কোপ পড়ার প্রভাবই ধরা পড়েছে ঠিক পরের ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির ওপর। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ ধরলে বৃদ্ধি ছিল ৭.১ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৮ শতাংশ। কিছুটা মুখরক্ষা করেছে কৃষি। গত বছরে ভাল বর্ষার হাত ধরে ফলন বছরে বেড়েছে ৪.৯% হারে, জানুয়ারি-মার্চে ৫.২ শতাংশ বিভিন্ন খাতে সরকারী খরচ বাড়ায় আরও বেশি নামতে পারেনি বৃদ্ধি, ধারণা অর্থনীতিবিদদের।
×