ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বনানীর ঘটনায় রেইন ট্রি হোটেলের রহস্যময় আচরণ, জিজ্ঞাসাবাদ হবে

দুই তরুণীর ছবি যারা ফেসবুকে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২১ মে ২০১৭

দুই তরুণীর ছবি যারা ফেসবুকে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ বনানীর ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর ছবি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশকারীদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম টিম। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। ইতোমধ্যে মামলার পাঁচ আসামির ছয়টি মোবাইল ফোন সেট ও আলোচিত আসামি নাঈমের ডিএনএ ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি রেইন ট্রি হোটেলের রহস্যজনক আচরণের কারণ জানতে হোটেলে দায়িত্ব পালনকারী মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। এর আগে ওই হোটেলে জব্দকৃত সব ক্যামেরা ফুটেজ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণে ওই হোটেলের অনেক অজানা তথ্যই এখন গোয়েন্দাদের জালে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। এদিকে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমতের তিনদিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ডিএমপি পুলিশ জানায়, রাজধানীর বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশকারীদের চিহ্নিত করার জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশে সাইবার ক্রাইম টিম। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বনানীতে নির্যাতনের শিকার দুই ছাত্রীর ছবি ফেসবুকে প্রকাশের মাধ্যমে যারা তাদের হেয় করার চেষ্টা করছে। তাদের বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, বনানীতে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর ছবি ভাইরালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদালত থেকে দুই তরুণীকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। দুই ছাত্রীর ছবি ফেসবুকে প্রকাশের মাধ্যমে যারা তাদের হেয় করার চেষ্টা করছে। তাদের বের করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবদুল বাতেন জানান, বনানীর ধর্ষণ মামলায় দুজন আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আজ (শনিবার) সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমতকে আদালতে হাজির করা হবে। নাঈম আশরাফের রিমান্ড চলছে। ঘটনা সম্পর্কে আমরা মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছি। তদন্তের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতিসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ আনা দুই ছাত্রীর সঙ্গে প্রধান তিন আসামির অনেক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরমধ্যে প্রধান আসামি সাফাতের সঙ্গে এক ছাত্রীর আপত্তিকর ছবিও রয়েছে। এক শিক্ষার্থী দাবি করেন, সেদিন হোটেলে একটি ছবি জোরপূর্বক তোলা হয়েছিল। পরে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলা হয় যে তারা সেসব ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেবে। তিনি জানান, এর বাইরে কিছু ছবি তারা ফটোশপের মাধ্যমে মাথা কেটে এ্যাডজাস্ট করে ফেসবুকে দিয়েছে। আর ক’টা ছবি আমাদের ফেসবুক থেকে নিয়ে কারসাজি করে দিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী জানান, সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া যারা আমার ছবি পোস্ট দিচ্ছেন তারা সম্মানহানির চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় আইনের সহায়তা চেয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করবেন। তিনি জানান, এর আগে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ বলেন, তারা সেদিন রাতে। এর আগে ও পরে কী কী করেছেন। আরও ছবি পাওয়া যাবে। ওই ছাত্রী জানান, মামলার পর সঠিক তদন্ত হলে ফেসবুকে কে বা কারা আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেছে। ছবি কারা কোন স্বার্থে জোগান দিয়ে সহযোগিতা করেছে সবই বেরিয়ে আসবে। এদিকে বনানীর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামিদের ছয়টি মোবাইল ফোন সেট আসামি ও আলোচিত আসামি নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এসব পরীক্ষার জন্য সিআইডি’র ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর জন্য এরইমধ্যে আদালতের অনুমতি চেয়েছেন তারা। ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বনানীর ধর্ষণ মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের কিছু ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। তাই আজ (শনিবার) আদালতের কাছে এসব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস পরীক্ষার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে সেগুলো ল্যাবে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে আদালতের অনুমতির মাধ্যমে রিমান্ডে থাকা নাঈম ওরফে মোঃ আব্দুল হালিমের ডিএনএ পরীক্ষা জন্য সিআইডি’র ল্যাবের পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার তার রিমান্ডের তৃতীয় দিন। প্রধান আসামি সাফাতের বডিগার্ড রহমতের চাঞ্চল্যকর তথ্য ॥ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের ঘটনার মামলায় আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তদন্তের স্বার্থে সেই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। শনিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে রহমত ওরফে আবুল কালাম আজাদ ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি জানান, তিন দিনের রিমান্ডে রহমতের কাছ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এখন তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এর আগে মঙ্গলবার রহমতকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত সোমবার রাজধানীর গুলশান থেকে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার মামলার মূল আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ৬ মে মামলার পর রেইন ট্রি হোটেলের সিসিটিভির সব ফুটেজ এখন সিআইডির ডিজিটাল ল্যাবে। মামলা দায়েরের পর পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নারী-কর্মকর্তাদের যৌথ টিম রেইন ট্রি হোটেলে সব ক্যামেরা জব্দ করেছে। সবগুলোর ফুটেজ উদ্ধার করেছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওগুলো প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণে পর ওই হোটেলের অনেক অজানা তথ্যই এখন গোয়েন্দাদের জালে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, রেইন ট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষ ফুটেজ সংরক্ষণের কথা বারবার অস্বীকার করেছেন। তারা গণমাধ্যমকেও জানিয়েছে এক মাসের বেশি সময়ের ফুটেজ তারা সংরক্ষণ করে না। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বনানী থানা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তারাও। ঘটনাটি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হলে গোয়েন্দা পুলিশ ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কর্মকর্তারা দফায় দফায় হোটেলে অভিযান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন ধরনের আলামত জব্দের পাশাপাশি রেইন ট্রি হোটেলের ফুটেজ সংরক্ষণের সার্ভার মেশিনও জব্দ করেন তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আইটি এক্সপার্ট কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ওই সার্ভারে অনেক ফুটেজের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন। তারপর অধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত রবিবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষাগার ও ডিজিটাল ল্যাবে হস্তান্তর করা হয়। ধর্ষণের শিকার তরুণীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন পোশাকও সিআইডির কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, সিআইডির দুটি টিম আলামতগুলোর পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষাগারে তরুণীদের ব্যবহৃত পোশাক থেকে আসামিদের ডিএনএ শনাক্তকরণ, পাশাপাশি রেইন ট্রি হোটেলে মামলার আসামিদের উপস্থিতি ও বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের ডিজিটাল পরীক্ষা করছে সিআইডির পৃথক টিম। সূত্রগুলো জানায়, রেইন ট্রি হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র ও ফুটেজ সংরক্ষণকারী সার্ভার মেশিনে অনেক ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ওই রাতের ঘটনার ভিডিও ছাড়াও পরবর্তীতে ওই হোটেলে আসামিদের যাতায়াত ও যোগাযোগের তথ্যও পরীক্ষা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ এক কর্মকর্তা জানান, যে কোন ধরনের ডিভাইস বা ডিজিটাল যন্ত্র থেকে মুছে ফেলা সর্বশেষ তথ্য উদ্ধারের প্রযুক্তিও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির হাতে আছে। কাজেই হোটেল কর্তৃপক্ষ উদ্দেশ্যমূলক কোন ফুটেজ সরিয়ে ফেললেও সেই তথ্যও জানা যাবে। সর্বশেষ ডিলিট করা ফুটেজও উদ্ধার করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট তদন্তকর্মকর্তারা জানান, রেইন ট্রি হোটেলের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার সময় রেইন ট্রি হোটেলের রহস্যজনক আচরণের কারণ জানতে হোটেলে দায়িত্ব পালনকারী মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও রিমান্ডে থাকা তিন আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে হালিম, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রেইন ট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক আচরণের অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। হোটেলটির মালিকের ছেলে, একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তকারী সংশ্লিষ্টরা জানান, ধর্ষণ মামলার ৫ আসামি সব গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে রেইন ট্রি হোটেল কর্তৃপক্ষের অনেক তথ্য হাতে পেয়েছে। ঘটনার সময় মালিকপক্ষের এক সদস্যের উপস্থিতি ও একজন সংসদ সদস্যের ছেলের প্রভাবের কারণে ধর্ষকরা সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া আচরণ করেছিল। সূত্রগুলো জানায়, উদ্বোধনের আগেই কেন হোটেলটির রুম ভাড়া দেয়া হয়েছিল ও রেজিস্ট্রার মেইনটেইন না করে কেন অতিথিদের ঢুকতে দেয়া হয়েছিল। কিভাবে আসামিরা অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছিল এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য মদ ও ইয়াবার সরবরাহ কারা করেছিল। কেন তারা ধর্ষণের ঘটনা আড়ালের চেষ্টা করেছিলেন। রেইন ট্রি হোটেলের সেদিনের নানা অসঙ্গতি বিষয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়া হোটেল মালিক, সংসদ সদস্য বজলুল হক (বিএইচ) হারুনের ছেলের সঙ্গে ধর্ষকদের সখ্যের বিষয়টিও জানার জন্য তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ধর্ষণে সহযোগিতার প্রমাণ পেলে রেইন ট্রি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার দিন রেইন ট্রি হোটেলে যারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার ভূমিকা নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান। এছাড়া গত ৭ মে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ভিকটিমের ম্যাক্রোবায়োলজি, রেডিওলজিক্যাল ও ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষা করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দেয়া জমা দেয়া বলে মেডিক্যাল বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. সোহেল মাহমুদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, ডাঃ মমতাজ আরা, ডাঃ নিলুফার ইয়াসমিন, ডাঃ কবিতা সাহা ও ডাঃ কবির সোহেল। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাতে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে তারা বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও বডি গার্ড রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
×