ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইরাকী বাহিনী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত অবস্থানে

মসুল থেকে পিছু হটার মুখে মাইন পুঁতছে আইএস

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৯ মে ২০১৭

মসুল থেকে পিছু হটার মুখে মাইন পুঁতছে আইএস

আইএস বিরোধী লড়াইয়ের কারণে মসুল থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের সংখ্যা চলতি মাসে পুনরায় বেড়ে চলেছে। আইএস জঙ্গীরা বেসামরিক নাগরিকদের আটকানোর জন্য মসুলের মূল রাস্তায় মাইন বোমা পুঁতে রাখছে। একজন ফেডারেল পুলিশ কমান্ডার ও সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শী বুধবার বলেছেন, সাত মাস যুদ্ধের পর ইরাকী বাহিনী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। শহরের একটি ঘিঞ্জি এলাকায় আইএস জঙ্গীরা কয়েক লাখ নাগরিকদের ফাঁদে আটকে তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। ইরাকী বাহিনীর আসন্ন জয় এড়াতে এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো নিজেদের দখলে আনতে আইএস এসব সাধারণ মানুষদের ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সমর্থনে ইরাকী বাহিনী চলতি মাসে উত্তর-পশ্চিম মসুলে একটি নতুন ফ্রন্ট খুলে দ্রুত আইএসকে বিতাড়িত করে শহরটির প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার (৫ বর্গমাইল) মুক্ত করে। তবে জঙ্গীরা এখনও পুরাতন শহরগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সেখানে তারা ইরাকী বাহিনীর অগ্রসর রুখতে ও তাদের শেষ অবস্থান টিকিয়ে রাখতে জোরপূর্বকভাবে আশপাশের জনবহুল, সাঁজোয়া যানবাহন ও সংকীর্ণ রাস্তায় নিজেদের প্রভাব চালিয়ে যাচ্ছে। ইরাকী সরকার রমজান মাসের মধ্যে মসুলকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেনা কমান্ডারদের মতে, ২৭ মে থেকে পুরাতন শহরগুলোতে প্রতিরোধ শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল গনি আল আসাদি বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশকে বলেন, তার চৌকস কাউন্টার টেররিজম সার্ভিস (সিটিএস) রাইফাই ও নাজাফ জেলায় অবিলম্বে অগ্রসর হচ্ছে, যার লক্ষ্য তাইগ্রিস নদীর পশ্চিম তীরে পৌঁছানো এবং পুরানো শহরকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা। জঙ্গীরা গত দুইদিনে মসুলের সৈন্যবাহিনীর বিরুদ্ধে ৩০টি আত্মঘাতী গাড়িবোমা স্থাপন করেছে বলে, জানান গনি। ইরাকের জয়েন্ট অপারেশন্স কমান্ডের মুখপাত্র জেনারেল ইয়াহিয়া রাসুল মঙ্গলবার রাজধানী বাগদাদে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দজলা নদীর দক্ষিণে এখনও আইএস জঙ্গীরা শতকরা ১০ দশমিক ৫ ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, আল্লাহ চাইলে শীঘ্রই আমরা পশ্চিম মসুলকে মুক্ত করে এর স্বাধীনতা ঘোষণা করব এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করব। জেনারেল ইয়াহিয়া বলেন, গত অক্টোবর মাস থেকে মসুল শহরে অভিযান শুরু হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ইরাকী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর হাতে ১৬ হাজার ৪৬৭ জন জঙ্গী নিহত হয়েছে।
×