স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পটিয়ায় সুন্নি-কওমী সংঘর্ষের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের সংগঠন এবং ইসলামী ছাত্রসেনা কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। রবিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ফ্রন্ট নেতারা বলেন, দেশের তরিকতপন্থী সুন্নি মুসলমানরা জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সকল নাগরিকের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী।
পটিয়ায় একটি কুচক্রিমহল সুন্নিদের একাধিক মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মাহফিল বন্ধ করে সম্প্রীতি এবং সহাবস্থান বিনষ্ট করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে দেশের দীর্ঘদিনের লালিত সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। গত ৯ মে পুলিশের তত্ত্বাবধানে সুন্নিদের মাহফিল মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা বিকেলে বিক্ষোভ করেন। বিনা উস্কানিতে পটিয়া থানা পুলিশ স্থানীয় কওমীপন্থী মুজাহিদ কমিটির পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে লাঠিচার্জ করে ২০ থেকে ৩০ জনকে আহত করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিপক্ষ পুলিশের উপর হামলা করে বসে এবং কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে।
এ সময় ১৫০/২০০ লোক উপস্থিত ছিল। অথচ দুটি পুলিশী মামলা এবং একটি ব্যক্তিগত মামলায় সমগ্র পটিয়া থানায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনাসহ আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’আত এর অনুসারী মাহফিল আয়োজক ও স্থানীয় সরলপ্রাণ নিরীহ প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে এবং তাদের আসামি করে গণহারে গ্রেফতার চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ফ্রন্ট নেতা সউম আবদুস সামাদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নূর হোসেন, আবদুর রহিম, জেলা নেতা নাঈমুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, মাওলানা আশরাফ হোসাইন, পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, আলমগীর বঈদী, জসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী, গিয়াস উদ্দিন নিজামী প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: