ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ায় র‌্যাব ও পুলিশের পাহারায় কওমীপন্থীদের ওয়াজ মাহফিল

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১১ মে ২০১৭

পটিয়ায় র‌্যাব ও  পুলিশের পাহারায় কওমীপন্থীদের ওয়াজ মাহফিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১০ মে ॥ র‌্যাব ও পুলিশ প্রহরায় চট্টগ্রামের পটিয়ায় কওমীপন্থী বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর শান্তিরহাট এলাকায় এই মাহফিল শুরু হয়। আগেরদিন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় একই স্থানে কওমী ও সুন্নিপন্থীদের মাহফিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সুন্নিপন্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পটিয়া কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী, পটিয়া থানার এসআই মোঃ আরাফাত, খাজু মিয়া, জাহের উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, আনসার মোঃ শাহজাহান, মোঃ আজাদ, মাহবুব, রায়হান, আব্বাস, জনি, রনি, সাগরসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন । গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সুন্নিপন্থী আড়াই শ’ লোকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ব্যানারে কওমীর এই মাহফিল ঘিরে মঙ্গল ও বুধবার দিনভর আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করে। যার কারণে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে। মাহফিল এলাকায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট, ৬ প্লাটুন পুলিশ ও দুই প্লাটুন র‌্যাবের পাশাপাশি অতিরিক্ত আনসার মোতায়েন করা হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বাদ জোহর কুসুমপুরা ইউনিয়নের শান্তিরহাটের মাছ বাজার এলাকায় বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ব্যানারে কওমীপন্থীরা মাহফিলের আয়োজন করে। একই স্থানে ইমাম আজম (রাঃ) সুন্নি কনফারেন্সের উদ্যোগে সুন্নিপন্থীরা মাহফিল করার ঘোষণা দেয়। এতে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে পুলিশ সুন্নিপন্থীদের পরের দিন মাহফিল করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সুন্নিপন্থীরা মঙ্গলবার বিকেলে কওমীপন্থীদের মাহফিলের প্যান্ডেল ছিঁড়ে ফেলে এবং মঞ্চ ভাংচুর করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে সুন্নিদের সংঘর্ষ শুরু হলে তারা গাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়ক দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে সুন্নিপন্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বুধবার সুন্নিপন্থী আড়াই শ’ লোকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর পরই শাখাওয়াত হোসেন, মিজানুর রহমান, শাহ আলম, এয়াকুব, শাহীন, ফারুকসহ ৬জনকে আটক করা হয়। কওমীরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে তাদের ওয়াজ মাহফিল শেষ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে বুধবার দুপুরে মাহফিল শুরু করে।
×