ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পূর্ব বগুড়ার সঙ্গে যোগাযোগ বেহাল ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৮ মে ২০১৭

পূর্ব বগুড়ার সঙ্গে যোগাযোগ বেহাল ॥ দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ পূর্ব-বগুড়ার সঙ্গে বগুড়া নগরীর যোগাযোগের অন্যতম সারিয়াকান্দি ও গোলাবাড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। সড়ক দুটি চেলোপাড়া-সাবগ্রাম এবং চেলোপাড়া-গোলাবাড়ি সড়কের কানেকটিভিটি। শুকনো মৌসুমে খানাখন্দকে ভরা এবড়ো-থেবড়ো পথে হেঁটে চলতেই কখনও হোঁচট খেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে কি হবে এ নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ। রিক্সা, মোটরবাইক, অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এমনকি মিনিবাসে চলাচল করলে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। গন্তব্যে নামার পর বোঝা যায় কি ধকল গেল শরীরের ওপর। উল্লিখিত, যানবাহন ও এ্যাম্বুলেন্সে করে কোন রোগী বহন করলে রোগীর অবস্থা যারপর নেই কাহিল হয়ে পড়ে। জরুরী রোগী হলে চিকিৎসা দেয়ার আগেই শঙ্কিত থাকতে হয়। দেশজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্রমেই উন্নত হচ্ছেÑ এটা যেমন ঠিক, তেমনই নির্মাণের পর দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ হয় না, এটাও ঠিক। দিনে দিনে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যান্ত্রিক যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় সাধারণের কর্ম বেড়ে গেছে। এ দুই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পূর্ব বগুড়ার হাজারো নারী-পুরুষ শিশু যানবাহনে চলাচল করে। এ সড়কের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে দ্রুত প্রতিকারের দাবিতে সাবগ্রাম এলাকার তরুণদের প্রতিষ্ঠিত ‘সেলফ’ নামের সংগঠন রবিবার সকালে বগুড়া নগরীর সাতমাথায় মানববন্ধন করে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক জানান, দূর-দূরান্তের স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীরা এ পথেই চলাচল করে। নওগাঁয় ১২ কিমি সড়ক নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, সাপাহার উপজেলা সদর থেকে খঞ্জনপুর বিজিবি ক্যাম্প এলাকা ও সীমান্তবর্তী এলাকা পাহাড়ী পুকুর শুঁটকিডাঙ্গা মোড় থেকে কলমুডাঙ্গা চৌমোহানী মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা এখন বেহাল। পাকা রাস্তা দুটির কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তা দুটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়লেও যেন দেখার কেউ নেই। সীমান্তবর্তী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এবং বিকল্প কোন রাস্তা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকার হাজারো মানুষ ও যানবাহন এ পথেই চলাচল করছেন। রাস্তায় চলতে গিয়ে হরহামেশা দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন অনেকে। খঞ্জনপুর বিজিবি কোম্পানি সদর পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে এখন সময় লাগছে ৩০ মিনিট। এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আরশাদ আলী জানান, সাপাহার হতে খনঞ্জনপুর সীমান্ত রাস্তাটি মূলত সড়ক ও জনপথ বিভাগের। বর্তমানে রাস্তাটি সড়ক বিভাগের নতুন নক্সায় না থাকার কারণে তারা রাস্তাটির ওপর কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আবার রাস্তাটি উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের আওতায়ও পড়ে না, এজন্য দীর্ঘদিন রাস্তাটির উন্নয়নে কেউ এগিয়ে আসেনি।
×