ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়ের ৫০ হাজার জেলেকে ভিজিএফ দেবে সরকার

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৫ মে ২০১৭

হাওড়ের ৫০ হাজার জেলেকে ভিজিএফ দেবে সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ হাওড় অঞ্চলে কৃষকদের পাশাপাশি ৫০ হাজার জেলেকে ভিজিএফ দেবে সরকার। পাশাপাশি এলাকাটির স্থায়ী সমাধান দিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। হাওড় এলাকায় ভবিষ্যতে ঝুঁকিমুক্ত করতে জেলা পর্যায়ের সকল মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে টিম পাঠাবে এই মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাংবাদিকদের বলেন, হাওড় অঞ্চলে কৃষকদের পাশাপাশি জেলেরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই কৃষকদের পাশাপাশি ৫০ হাজার জেলেকে ভিজিএফ দেয়া হবে। পাশাপাশি তাদের সকলের বিকল্প কর্মসংস্থান করা হবে। ইতোমধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য জেলাভেদে ১০-১৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ৪০ দিনের কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসংস্থান করা হবে। মন্ত্রী বলেন প্রাথমিকভাবে হাওড় অঞ্চলের ৩ লক্ষ ৩০ হাজার প্রান্তিক দরিদ্র লোককে ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হবে। এ সংখ্যা বাড়তে থাকলে বাড়তি লোকদেরও সহায়তা করা হবে। এর পাশাপাশি সুলভ মূল্য ও ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে। সকল ক্ষতিগ্রস্ত লোককে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনার লক্ষ্যে জিআর, ভিজিডি, ভিজিএফ, সুলভ মূল্যের চাল ও ওএমএস চাল বিতরণে সমন্বয় সাধনের জন্য সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়। চাল বিতরণে যে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে উর্ধতন কর্মকর্তা প্রেরণ করার জন্য সভায় অনুরোধ করা হয়। তার আলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়বাসীর পুনর্বাসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে দুর্যোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা হাওড় এলাকার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিতে চাই। দুর্যোগ আসলে সব দায়-দায়িত্ব আমাদের কাঁধে ভর করে। তাই সকল মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে টিম পাঠানো হবে। এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত এই টিম প্রতি সপ্তাহে সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে অবহিত করবে। দুর্যোগ সচিব শাহ কামাল বৈঠকে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠে যান না। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খুব শীঘ্রই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেয়া হবে। সূত্র জানায়, হাওড়ে অকাল বন্যা হওয়ার পর এ পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ও সচিব পাঁচবার সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় মাঠ প্রশাসনের নানা অব্যবস্থাপনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী ও সচিব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, অর্থ সচিব হেদায়েত আল মামুন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহাম্মদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
×