ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হতাশ পরিবার

ব্যবসায়ী টুকু হত্যার তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

ব্যবসায়ী টুকু হত্যার তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও ব্যবসায়ী জিয়াউল হক টুকু হত্যার এক বছর পার হয়ে গেল সোমবার। নিজ চেম্বারে রিভলবারের গুলিতে নিহত হওয়ার এক বছরেও শেষ হয়নি চাঞ্চল্যকর এ মামলা তদন্ত। এক বছরের আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় এখন হতাশ টুকুর পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন, মামলার অভিযোগপত্র দাখিলে যত দেরি হবে, আইনের ফাঁক দিয়ে আসামিরা বেরিয়ে যাওয়ার ততই সুযোগ পাবেন। গত বছরের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী মহানগরীর রেলগেট এলাকায় নিজের চেম্বারে গুলিবিদ্ধ হন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রশাসক জিয়াউল হক টুকু। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী নুরুন্নাহার লতা। টুকুর স্ত্রী জানান, এক বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় টুকু হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তিনি দ্রুত এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের দাবি জানান। তিনি জানান, ঘটনার পর চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এরা হলো ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকার এমএ নয়ন, রাজশাহী মহানগরীর বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম তরিক, নগরীর মহিষবাথান এলাকার রবিউল ইসলাম এবং সুলতানাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন। টুকু যখন গুলিবিদ্ধ হন, তখন তার চেম্বারে এই চারজন উপস্থিত ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তারাই টুকুকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় তারা প্রচার করেন, রিভলবার পরিষ্কার করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত টুকু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলিতে টুকুর পিঠের দিকে যে ফুটো হয়েছিল তা তুলনামূলক ছোট। এ থেকে বোঝা যায় পেছন থেকে টুকুর শরীরে গুলি প্রবেশ করেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তরিক, রবিউল জসিম ও নয়ন টুকুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করার পর সবাই পালিয়ে যান। টুকুর স্ত্রীর দাবি, অর্থ লেনদেন কেন্দ্র করে তরিক, রবিউল ও জসিম ভাড়াটে খুনী নয়নকে দিয়ে তার স্বামীকে হত্যা করিয়েছেন। টুকু মাঝে মাঝেই তরিক, রবিউল ও জসিমের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতেন। পাওনা টাকা চাইতেন। টুকু মারা যাওয়ার পর পুলিশ রবিউল ও জসিমকে গ্রেফতার করে। তবে এখন তারা জামিনে রয়েছেন। অন্যদিকে গত বছরের ৪ মে প্রধান আসামি এমএ নয়ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু এখনও পলাতক মামলার দুই নম্বর আসামি তরিকুল ইসলাম তরিক।
×