ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় হাট ইজারা নিয়ে ত্রিমুখী জটিলতা

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১২ এপ্রিল ২০১৭

বগুড়ায় হাট ইজারা নিয়ে ত্রিমুখী জটিলতা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ গাবতলীর তরনীহাট ইজারা নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন ও ইজারা গ্রহীতাদের মধ্যে ত্রিমুখী জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুযায়ী নতুন বাংলা বর্ষ শুরুর আগে হাট ইজারা দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, হাট ইজারার টেন্ডারের জন্য ১৫ দিন সময় থাকতে হবে। ইজারা দেয়ার জন্য হাতে সময় আছে মাত্র দুই দিন। চলতি ১৪২৩ বাংলা সনের জন্য নেয়া হাট ইজারাদার জাহাঙ্গীর হোসেন বছর শেষ হওয়ার তিন মাস আগে বন্যার ক্ষতির অজুহাত দেখিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরবর্তী বছরের জন্য (১৪২৪) উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ইজারা নেন। এতে প্রতিপক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়। ইজারাদারও আদালতে যান। সর্বশেষ উচ্চ আদালত পূর্বের ইজারাদারের আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে বাংলা নতুন বছরের (১৪২৪) জন্য হাট ইজারা দিতে আর কোন বাধা থাকে না। উচ্চ আদালতের এ নির্দেশ গাবতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে পৌঁছে বৈশাখ শুরুর চার দিন আগে সোমবার। এ অবস্থায় ইউএনও কী করবেন এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কারণ মাস তিনেক আগে তিনি নতুন বছরের জন্য তরনীহাট ইজারা দিয়েছেন। এজন্য করসহ হাট ইজারার অর্থ ১০ শতাংশ উর্ধে ধার্য করে প্রায় ২২ লাখ টাকা ভূমি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে জমা করেন। এখন নতুন করে ইজারা দিতে হলে জমাকৃত এ অর্থের কী হবে! তিন দিনের মধ্যে কিভাবে হাট ইজারা দেয়া যাবে এ নিয়ে এক অচলায়তনের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে গাবতলীর ইউএনও জানান, তিনি উচ্চ আদালতের চিঠি পেয়েছেন। হাট ইজারার নিয়মানুযায়ী টেন্ডার দাখিলের জন্য অন্তত ১৫ দিন সময় দিতে হয়। হাতে আর সময় আছে তিন দিন। এ জটিলতায় কী করবেন তা জানার জন্য মঙ্গলবার সকালে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ে জরুরী বার্তা পাঠিয়েছেন। তাছাড়া ইজারার যে অর্থ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে তার কী হবে? এ অর্থ কিভাবে ফেরত দেয়া দেয়া হবে তা নিয়ে এক অচলায়তনের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা কাটাতে কোন বিকল্প আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাবতলীর ওই তরনীহাটের প্রায় এক যুগের ইজারাদার ওয়াজেদ হোসেন প্রামাণিক বলেন, ইজারাদার জাহাঙ্গীর যখন বন্যার কারণে হাটে যাওয়ার রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতির কথা বলে নির্ধারিত সময়ের আগেই ইজারা নেন, তখন খতিয়ে দেখা হয়নি আসলেই বন্যা হয়েছিল কি-না। তিনি বলেন, গত বর্ষায় গাবতলী এলাকায় কোন বন্যা হয়নি। কথিত বন্যার কারণে হাটের পথঘাটের কোন ক্ষতি হয়নি।
×