ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় সাতভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১২ এপ্রিল ২০১৭

খুলনায় সাতভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার খুলনা থেকে জানান, খুলনায় যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল মাঝের পাড়া গ্রামের কৃষক মজিদ সরদার হত্যা মামলায় আপন সাত ভাই ও এক ভাইপোসহ একই পরিবারের আট আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- প্রদান করেছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামির ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্তরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দ-প্রাপ্তরা হলেনÑ কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল মাঝের পাড়া গ্রামের মৃত জাহান বকস সরদারের সাত ছেলে যথাক্রমে তাজ উদ্দিন সরদার, রফিকুল ইসলাম সরদার, সিদ্দিকুর রহমান সরদার, আমজাদ সরদার, আব্দুল গনি সরদার, নজরুল ইসলাম সরদার ও মাসুদ সরদার এবং সিদ্দিকুর রহমান সরদারের ছেলে আসাদুজ্জামান লিটন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে মধ্যকুল মাঝের পাড়া গ্রামের বাড়িতে মজিদ সরদারের ভাই মশিউর রহমান পলাশ ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগমকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করতে থাকে আসামিরা। এ সময় মজিদ সরদার বাধা দিলে তারা তাকেও বেধড়ক মারপিট করে। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মজিদ সরদার মারা যান। গাজীপুরে যুবকের যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, অস্ত্র মামলার রায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। এছাড়াও মামলার অপর একটি ধারায় তাকে আরও ১০বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক ওই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম রেজাউল করিম ওরফে কালু (৩২)। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার বাগানটুলি গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১২মার্চ রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা মোড় এলাকায় এসআই আলমগীর সিদ্দিক ডিউটি পালন করছিলেন। রাত ৩টার দিকে চন্দ্রা ফুড প্লাজার সামনে রাস্তার ওপর নিয়মিত চেকপোস্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সাথী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে তিনি ফোর্স নিয়ে তল্লাশি চালান। এসময় বাসটির ইঞ্জিন কভারের ওপর বসা টিকেটবিহীন যাত্রী কালুর কাঁধে ঝুলানো ব্যাগের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে দুটি পিস্তল, ১০রাউন্ড গুলি ভর্তি চারটি ম্যাগজিন উদ্ধার এবং তাকে আটক করে। রংপুরে একজনের আমৃত্যু কারাদন্ড নিজস্ব সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, রংপুরে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র শিশু হিমেলকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে টাকা না পাওয়ায় হত্যার দায়ে মারুফ হোসেন মানিক নামে একজনকে আমৃতু্যু কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদ- এবং মানিকের স্ত্রী রুনা আখতার বৃষ্টিকে তিন বছরের আটকাদেশ প্রদান করে রায় দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক চাদ মোহাম্মদ আব্দুল আল-রাজি এ রায় দেন। উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর খলিফাটারী মহল্লায় আব্দুল করিম ভোলার বাসায় ভাড়া থাকত আসামি মারুফ হোসেন মানিক ও তার স্ত্রী রুনা আখতার বৃষ্টি। তারা দুজনই প্রেম করে গোপনে বিয়ে করে নওগাঁ থেকে পালিয়ে এসে আব্দুল করিমের বাসায় ভাড়া থাকত। সেখানে ভাড়া থাকাবস্থায় আর্থিক সঙ্কটে পড়ায় বাড়িওয়ালা ভোলার একমাত্র ছেলে হিমেলকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে ভাড়াটিয়া মানিক। এরই অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ১১ নবেম্বর বিকেলে শিশু হিমেল খেলতে গিয়ে নিখেঁাঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও হিমেলকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তার বাবা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ছয় দিন পর হিমেলের লাশ বাড়ির কাছেই বালুর মধ্য থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রংপুর মেডিক্যাল ॥ অপরদিকে ছাত্রলীগের চাপের মুখে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ১৪ ছাত্রীর বিরুদ্ধে নেয়া শাস্তির আদেশ মেয়াদের আগেই প্রত্যাহার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ছাত্রীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কলেজ অধ্যক্ষ বলেছেন, কোন চাপের মুখে নয়, মানবিক কারণে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনিকা রাজ ছাত্রীনিবাসের ২৫ নম্বর কক্ষে ও একই বর্ষের ছাত্রী রুনা ২৬ নম্বর কক্ষে থাকেন। গত বছরের ২৯ আগস্ট রাতে একই ছাত্রীনিবাসের সাতজনসহ তাদের সঙ্গী অন্য ছাত্রীরা মিলে অনিকা রাজ ও রুনার কক্ষে প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। এ সময় তারা দু’কক্ষের বিছানাপত্র, মোবাইল, ইলেক্ট্রিক যন্ত্র, বইসহ আসবাবপত্র তছনছ করেন। পরে নির্যাতিত ওই দু’ছাত্রী অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের শিক্ষক নুরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দেয় মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষর কাছে।
×