ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী রিপনের ফাঁসি যেকোন সময় ॥ পরিবারের ১২ সদস্যের সাক্ষাত

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১০ এপ্রিল ২০১৭

জঙ্গী রিপনের ফাঁসি যেকোন সময় ॥ পরিবারের ১২ সদস্যের সাক্ষাত

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ জঙ্গী নেতা রিপনের ফাঁসি যে কোন সময় কার্যকর করা হবে। ফাঁসির আদেশ পাওয়ার পর তা কার্যকর করতে ফাঁসির মঞ্চ ও কারাগারের ৮-১০ জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। রবিবার দুপুরে জঙ্গী নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শিশু, নারী ও পুরুষসহ পরিবারের ১২ সদস্য তার সঙ্গে দেখা করে ২৫ মিনিট কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, রাষ্ট্রপতি জঙ্গী নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বলে আমরাও শুনেছি। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার পর কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। তিন জঙ্গীর মধ্যে বাকি দুই বন্দী আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন। আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন দ-প্রাপ্তরা। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন খারিজ করে দেন।
×