ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা আজ

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১০ এপ্রিল ২০১৭

প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা আজ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সফল ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পর আজ সোমবার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে পুষ্পবৃষ্টি ছিটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে। আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল ও সমমনা রাজনৈতিক দল ও সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং সরকার সমর্থক বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে ফুলেল অভিনন্দন জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীকে। চার দিনের ভারত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি (ফ্লাইট নং বিজি-১০৯৮) আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (র) বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে অবস্থান নেবেন নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ। বিমানবন্দর ও গণভবনে উপস্থিত হওয়ার পর বিশিষ্টজনরাসহ দল ও সরকারের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরকালে দেশটির সঙ্গে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে বাংলাদেশের ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিরল সম্মানে ভূষিত করেছেন। আওয়ামী লীগ শনিবার রাতে সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভা করে প্রধানমন্ত্রীর এ ঐতিহাসিক সফরের সফলতার জন্য তাঁকে গণসংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এ গণসংবর্ধনাকে সর্বজনীন করতে ১৪ দল এবং সরকারের সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠন, নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষকেও গণসংবর্ধনায় যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। গণসংবর্ধনাকে সফল করতে রবিবার দিনভর প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা ও যৌথসভা করেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পৃথক বর্ধিত সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্ব বণ্টনও করা হয়েছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে বর্ণাঢ্য করতে বিপুল জনসমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজধানীতে আরেকটি বড় ধরনের শোডাউনও করতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মী ও মানুষকে সমবেত করতে দলের মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড নেতারা ছাড়াও ঢাকা ও গাজীপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলার এমপিদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর সংবর্ধনাকে ঘিরে রাজধানীর বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে শুরু করে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে নানা রঙের পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে ফুল ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন নেতাকর্মীরা। গণসংবর্ধনার রুট ॥ প্রধানমন্ত্রীর এ গণসংবর্ধনা উপলক্ষে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত দীর্ঘপথে কমপক্ষে ১০টি স্পষ্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের তত্ত্বাবধানে এসব স্পটে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা ছাড়াও এসব দলের এমপিদের নেতৃত্বে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড এবং সহযোগী-ভাতৃপ্রতিম ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গণসংবর্ধনায় যোগ দেবেন। এসব স্পট হলোÑ বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলক্রসিং, বনানী রেলক্রসিং থেকে মহাখালী রেলক্রসিং, মহাখালী রেলক্রসিং থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে, সড়ক পরিবহন অফিস থেকে র‌্যাংগ্স ভবন, র‌্যাংগ্স ভবন থেকে নভোথিয়েটার, নভোথিয়েটার থেকে সামরিক জাদুঘর, সামরিক জাদুঘর থেকে সংসদ ভবন মোড়, সংসদ ভবন মোড় থেকে গণভবন মোড় এবং গণভবনের সামনে।
×