ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন

বায়ো পেসটিসাইডের দিকে নজর দেয়ার তাগিত

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৯ মার্চ ২০১৭

বায়ো পেসটিসাইডের দিকে নজর দেয়ার তাগিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন এ্যাসোসিয়েশন (বিসিপিএ) মুখ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পেছনে কৃষকের যেমন অবদান রয়েছে তেমনি বিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতেরর কর্মকর্তা এবং কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ীরা সমান অবদান রেখে চলছেন। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বায়ো পেসটিসাইডের দিকে এখন তাদের নজর দিতে হবে। সোমবার রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন এ্যাসোসিয়েশনের (বিসিপিএ) ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বিসিপিএ নবনির্বাচিত ১২ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদের নাম ঘোষণা করা হয়। অতিথিদের সামনে তাদের পরিচয় করিয়ে দেন বিপিসিএর নবনির্বাচিত সভাপতি রুমান হাফিজ। নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা হচ্ছেনÑ সভাপতি রুমান হাফিজ, সহ-সভাপতি মোঃ সাদিকুল ইসলাম, মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, যুগ্ম মহাসচিব কৃষিবিদ এম মারুফুজ্জামান টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলীম, প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল আলম আকন্দ, ট্রেজারার এম নাসির উদ্দিন আহমেদ। কার্যনির্বাহী সদস্যরা হচ্ছেনÑ মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ মিজানুর রহমান খান, কৃষিবিদ এ কে এম শাহাদৎ হোসেন, কৃষিবিদ মোঃ কবির উদ্দিন এবং কৃষিবিদ মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ মনজুরুল হান্নান বলেন, দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, এর অবদান কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী ও যারা কৃষি উপকরণ সরবরাহ করছে তাদের। এ সময় সরকার কৃষিতে ব্যাপক ভর্তুকি দিয়েছে। এখন সময় এসেছে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সহায়তার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে বিসিপিএ। অথচ এখনও একটি শ্রেণী ড্রামে করে খোলা বাজারে প্যারাকুয়েট বিক্রি করছে। তাই প্যারাকুয়েট আমদানিতে নতুন করে আর কোন কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হবে না। আমরা এমন বালাইনাশক অনুমোদন দেব, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। বিসিপিএ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, দেশের খাদ্য উৎপাদনে আপনারা বড় ভূমিকা রাখবেন। তাই এখন বায়ো পেসটিসাইডের দিকে নজর দেবেন। একইসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক মোঃ গোলাম মারুফ বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি তো বটেই, আজ বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। এ অর্জনের পেছনে যেমন কৃষকের অবদান রয়েছে তেমনি বিজ্ঞানীসহ কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ীরাও এর অংশীদার। তিনি বলেন, ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের বিকল্প নেই। অর্গানিক ফসল ভাল। তবে যে হারে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে সেখানে অর্গানিক ফসল উৎপাদন করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। বরং আমরা বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের দিকে যেতে পারি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন বলেন, বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে। ফলে উৎপাদন বাড়ছে। কয়েকটি ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখনও অনেক শস্যের উৎপাদন খুবই কম। সেসব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেনÑ বিসিপিএ’র সভাপতি রুমান হাফিজ ও সভাপতির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ।
×