ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তুর্কী গণভোট নিয়ে ইউরোপে প্র্রচার সমাবেশ করা যাবে না

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১২ মার্চ ২০১৭

তুর্কী গণভোট নিয়ে ইউরোপে প্র্রচার সমাবেশ করা যাবে না

তুরস্কে আগামী মাসে সংবিধান সংশোধন বিষয়ে গণভোট আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার সপক্ষে যেন প্রচারাভিযান চালানো না কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এসব দেশে তুর্কী রাজনীতিবিদদের উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশের ওপর নিষেধাঙ্গা আরোপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। রটারডেমের মেয়র বলেছেন, তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এ ডাচ বন্দরে প্রচার চালাতে পারবেন না। অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডে সভার ওপর নিষেধাঙ্গা আরোপ করা হয়েছে। জার্মানিতে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট সভা বাতিল করে দেয়ায় তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগান এ উদ্যোগকে নাজি কর্মকা- বলে অভিযুক্ত করেছেন বার্লিনকে। জার্মান নেতৃবৃন্দ এরদোগানের এ মন্তব্যের কড়া জবাাব দিয়েছেন। চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মের্কেল এ তুলনাকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। এরদাগান ১৬ এপ্রিলের ভোটে নতুন করে ক্ষমতা পেতে চাইছেন। তার লক্ষ্য হচ্ছে, গণভোটে ভোট দিতে সক্ষম বেশ কয়েক লাখ প্রবাসী ভোটার রয়েছে। জার্মানিতে এ রকম প্রবাসী ভোটার রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ। রটারডেমের মেয়র আহমেদ আবু তালেব বলেছেন, শহরে শনিবার যে হলটিতে কাভুসোগলুর সভা অনুষ্ঠানের কথা ছিল তার মালিক সভা অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করে দিয়েছেন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে তার সফর অব্যাহত রাখতে পারেন। তিনি বলেন, কাভুসোগলুর কূটনীতিক অব্যাহতি রয়েছে। তাই তার প্রতি আমাদের আচারণ হবে মর্যাদাশীল। কিন্তু জনস্থানে এ ধরনের বিষয় নিষেধে অন্যান্য ব্যবস্থা রয়েছে। নেদারল্যান্ডে কাভুসোগলুর সফরের বিরুদ্ধে ইসলামবিরোধী গ্রুপগুলো বিক্ষোভ জানিয়েছে। তিনি এখানে প্রচার কাজে বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার পর রবিবার সুুুুুইজারল্যান্ডের জুরিখে যে কর্মসূচীতে তার উপস্থিত হওয়ার কথা সে ব্যাপারেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জুরিখে শুক্রবার অনুষ্ঠেয় আরও একটি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অস্ট্রীয় শহর হোয়েরব্রত্রেজ, লিনজ ও হারজো জেনঝগেও সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে। ইইউ দেশগুলোতে অবস্থানরত তুর্কিদের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের এ প্রচার উদ্যোগের সমালোচনা করেছে ডাচ ও অস্ট্রীয় সরকার। তুরস্কে গত জুলাইয়ে ব্যর্থ অভ্যুথানের পর তুরস্ক ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। জার্মানি তুরস্কে গণগ্রেফতার ও শুদ্ধি অভিযানের সমালোচনা করেছে। দেশটিতে প্রায় ১ লাখ সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।
×