ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিত্যক্ত ঘোষণা পাঁচ বছর আগে

মঠবাড়িয়ায় তাঁবুর নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ৭ মার্চ ২০১৭

মঠবাড়িয়ায় তাঁবুর নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ৬ মার্চ ॥ মঠবাড়িয়া উপজেলার কুমিরমারা বন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে খোলা মাঠে তাঁবু টানিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে। পরিত্যক্ত ঘোষণার ৫ বছর পরও স্কুল ভবন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের চার শিক্ষিকা খোলা মাঠে তাঁবুর টানিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। বিদ্যালয়ের আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করায় রোদের তাপ আর ধুলাবালিতে লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী মিলে কুমিরমারা বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে স্কুলটি রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হলে ১৯৯৪ সালে ৪ কক্ষের একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ। এর পর ২৩ বছরেও স্কুল ভবনটি আর সংস্কার হয়নি। স্কুল ভবনটির পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে। পিলার ও দেয়ালজুড়ে ফাটল দেখা দেয়ায় পাঠদান অতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ২০১২ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এর পর সেখানে পাঠদান আর সম্ভব হয় না। এমন সঙ্কটের মুখে স্কুল নিকটবর্তী আবু জাফর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুলের পুরাতন একটি টিনশেড ভবনে প্রাথমিক স্কুল পাঠাদানের জন্য ছেড়ে দেয়। সেই থেকে ধার করা এক কক্ষেই চলে আসছিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির লেখাপড়া। কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধার দেয়া শ্রেণী কক্ষ ছেড়ে দিতে নোটিস দিলে প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়ে। এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমেনা খাতুন জানান, আপাতত তাঁবুর নিচে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছি। বিকল্প ঘর না করতে পারলে ক্লাস বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান রিয়াজ মাতুব্বর জানান, পাঁচ বছর ধরেই বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, পরিত্যক্ত ভবনটির স্থানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানালেও কোন সাড়া মেলেনি।
×