ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হকারমুক্ত নগরীর ফুটপাথ

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৪ মার্চ ২০১৭

হকারমুক্ত নগরীর ফুটপাথ

জান্নাতুল মাওয়া সুইটি ॥ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাথ এখন হকারমুক্ত হয়েছে। রাজধানী ক্রমশ ফিরে পাচ্ছে ফুটপাথের স্বরূপ। সম্প্রতি ডিসিসির অভিযানের ফলে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের গুলিস্তান, বাইতুল মোকাররম ও পল্টনের ব্যস্ততম সড়কগুলোর ফুটপাথ অনেকটাই পরিষ্কার। সাধারণ মানুষ চান এর স্থায়ী পদক্ষেপ। চান হকারমুক্ত ফুটপাথ। কয়েকদিন আগেও গুলিস্তানের প্রধান সড়ক দিয়ে যানবাহন দূরে থাক মানুষের চলাচল কষ্টসাধ্য ছিল। সবখানেই ছিল হকারদের অবস্থান। ‘ফুটপাথে হকার না থাকায় চলাচলে মোটামুটি স্বস্তি এসেছে। স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটে চলতে পারছি। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগ আরও আগে বাস্তবায়ন হওয়ার দরকার ছিল, বললেন পথচারী শফিক। আরেক পথচারী অনন্যা আজাদ জনকণ্ঠকে বললেন, রাজধানীর ফুটপাথগুলো বিশেষ করে পুরো গুলিস্তানের ফুটপাথ চলে গিয়েছিল হকারদের দৌরাত্ম্যে। আপাতত হকারদের এই বিশৃঙ্খলা বন্ধ হয়েছে। আমরা চাই রাজধানীর ফুটপাথ যেন সব সময় এভাবেই হকারমুক্ত থাকে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজধানীর চিরচেনা ফুটপাথের চেহারা বেশ বদলে গেছে। পণ্যের পসরা সাজানো নেই, নেই হকারদের হাঁকডাক। মানবজটে থামতে হচ্ছে না পথচারীকে। কারণ থেমেছে হকারদের দৌরাত্ম্য। চলাচলের পথে নেই ভাসমান দোকানপাট। হকার উচ্ছেদের কারণে সুন্দর পরিবেশ ফিরেছে রাস্তাঘাটে। স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটে যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। ফুটপাথ পরিষ্কার। তাই ফুটপাথে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পেরে বেশ খুশি নগরবাসী। এ পর্যন্ত অনেকবার সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রাজধানীর ফুটপাথ হকারমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চলেছে। কিন্তু একের পর এক উচ্ছেদ অভিযানেও কোন পরিবর্তন আসছিল না। উচ্ছেদ করতে গিয়ে হকার ও লাইনম্যান নামধারী চাঁদাবাজদের হামলার শিকারও হয়েছেন নগর ভবনের কর্মকর্তারা। আক্রান্ত হয়েছে নগর ভবনও। এ পরিস্থিতিতে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হকার নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। গুলিস্তান-মতিঝিল ও এর আশপাশের এলাকায় সন্ধ্যার আগে হকার বসতে নিষেধ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্র্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা কোনভাবেই মানতে নারাজ হকার নেতাকর্মীরা। এ জন্য তারা দফায় দফায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন। পুনর্বাসন নীতিমালা না করা পর্যন্ত হকারদের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছে হকার্স সমন্বয় পরিষদ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে তারা। হকার উচ্ছেদ অভিযানের পর বেশকিছু এলাকায় সন্ধ্যার আগে হকার দেখা না গেলেও গুলিস্তানে এখনও অনেক হকার ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসার চেষ্টা করেন। তবে সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বা স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আবারও সরিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের জন্য হকার তালিকা, হলিডে (ছুটির দিন) মার্কেট, নির্দিষ্ট সময়ে ফুটপাথে হকার বসতে দেয়াসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট না হকাররা। তারা ফুটপাথ দখল শেষে নগরীর রাস্তাও দখল করতে থাকেন। পরে বেসামাল হকারদের ফুটপাথ ছাড়াতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয় সিটি কর্পোরেশন। নগরীর ফুটপাথ হকারমুক্ত ও হলিডে মার্কেট চালুর লক্ষ্যে গত ১১ জানুয়ারি হকার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মেয়র সাঈদ খোকন। এ সময় হকাররা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরলেও ফুটপাথ ছাড়ার বিষয়ে কোন কথা বলেননি। পরে মেয়র সরকারী কর্মদিবসে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফুটপাথ ও সড়কে কোন হকার বসতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি হলিডে মার্কেটে হকারদের বসতে অনুরোধ করেন। সিটি কর্পোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারি থেকে গুলিস্তান, জিপিও, পল্টন, মতিঝিল, দৈনিক বাংলাসহ আশপাশ এলাকায় হকার উচ্ছেদ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন। এ সময় সড়ক ও ফুটপাথে কোন হকার বসতে দেয়া হয়নি। এসব এলাকার ফুটপাথ এখন মুক্ত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অনড় সিদ্ধান্তে আমূল বদলে গেছে প্রায় সব ফুটপাথের চিত্র। হকারমুক্ত স্বাভাবিক ফুটপাথের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগ। কিন্তু মেয়রের এ উদ্যোগ কতদিন থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত নগরবাসী। তবে ডিএনসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার বক্তব্যে উচ্ছেদ অভিযানের শুরু থেকেই বলে আসছেন, ‘জনগণের সুবিধার্থেই ফুটপাথ। এটি জনগণের সম্পদ। এটি উদ্ধারে উচ্চ আদালত এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। ফুটপাথ দখলে যত বড় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জনগণের পথচলা নির্বিঘœ করতেই আমাদের এ প্রচেষ্টা। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অবস্থান পরিষ্কার, স্পষ্ট ও কঠোর। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়ে কাউকে একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। রাজধানীতে যানজটের অনেক কারণের মধ্যে হকার অন্যতম। সবকিছু বিবেচনার মাধ্যমেই হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এতে নগরবাসীও খুশি। জানুয়ারি মাস থেকে দফায় দফায় উচ্ছেদের ফলে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা এখন যানজটমুক্ত। অফিস কিংবা গন্তব্যে পৌঁছাতে এখন আর কেউ রিক্সা কিংবা যানবাহনের দারস্থ হচ্ছেন না। হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন অধিকাংশ পথচারী। বুধবার সকাল থেকে গুলিস্তান, পল্টন, জিপিও, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল ও আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কজুড়ে তেমন কোন যানজট নেই। ফুটপাথ একেবারেই ফাঁকা। কোথাও কোন জটলা নেই। পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যেই হেঁটে চলাচল করছেন। সবার মুখে হাসি। ফাঁকা হয়ে যাওয়া ফুটপাথ যেন সবার কাছে অপরিচিত। তবে ফুটপাথে কোন হকার দেখা না গেলেও কোথাও কোথাও তাদের রেখে যাওয়া চৌকি, মাচা দেখা গেছে। মাল রাখার চৌকি ফুটপাথের লোহার গ্রিলের সঙ্গে শিকল দিয়ে তালা মেরে রেখেছে হকাররা। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ তৎপরতা কোনভাবে থেমে গেলে সেই আগের মতো আবার দখলের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, হকারদের একমাত্র ঠিকানা হলিডে মার্কেট। ফুটপাথে কোনভাবেই তাদের বসতে দেয়া হবে না। ফুটপাথে রেখে যাওয়া অধিকাংশ চৌকি ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে, চলবে। অফিস সময়ে রাজধানীর মতিঝিল ও গুলিস্তানে হকার বসতে দেয়া হবে না ঘোষণা দেয়া হলেও সরকারী ছুটির দিনগুলোর পাশাপাশি কর্মদিবসগুলোতে অফিস ছুটির দেড় ঘণ্টা পর থেকে নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য নিয়ে বসতে পারবেন ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা। তবে ডিএনসিসির নির্দেশ অমান্য করে এখনও ভাসমান হকারদের পণ্য সাজিয়ে বসতে দেখা গেছে। ফুটপাথ হকারমুক্ত হওয়ায় এসব এলাকায় এখন যানজটের পরিমানও কমে এসেছে। যানজটের আতঙ্কের স্থান হিসেবে পরিচিত গুলিস্তান এখন অনেকটাই ফাঁকা। আগের মতো এখানে গাড়ির জটলা নেই। ফুলবাড়ী সুন্দরবন মার্কেটের সামনে নেই হকারদের চিৎকার। ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে পথচারীদের। গুলিস্তানের ফ্লাইওভারের মোড়ে নেই গাড়ির জটলা। তাই গাড়িগুলো ফ্লাইওভার থেকে নেমে সহজেই গুলিস্্তান জিরো পয়েন্টের দিকে চলে যেতে দেখা গেছে। ফুটপাথ হকারমুক্ত হওয়ায় অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই চলাচল করা গেছে বলে জানায় রাজধানীবাসী। বাইতুল মোকাররম মসজিদের সামনের ফুটপাথ দিয়ে যাচ্ছিলেন পথচারী আফরিন। তিনি বলেন, হকারমুক্ত হওয়ায় ফুটপাথ দিয়ে আমরা এখন স্বাচ্ছন্দ্যেই হাঁটতে পারছি। বিশেষ করে মেয়েরা ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময় হকারদের কারণে মাঝে মাঝেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তবু এখনও কিছু হকার আশপাশ দিয়ে ঠেলাগাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে। শীঘ্রই রাজধানীর প্রতিটি ফুটপাথ যেন এমনই হকারমুক্ত হয় সেটি আমাদের দাবি। হকারদের কারণে ফুটপাথ দিয়ে সচরাচর হাঁটতেন না আকলিমা খাতুন। তিনি জানালেন, এখন ফুটপাথ যেমন হকারমুক্ত আছে তেমনি যেন সবসময় থাকে। সচরাচর আমি ফুটপাথ দিয়ে হাঁটি না। কারণ হকারদের কারণে ফুটপাথ নয় রাস্তার জায়গাও অনেকটা সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়। অনেকেই রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে কোন এক দোকানের পণ্য দেখতে থাকে। এক দোকানে মাঝে মাঝে সাত আটজনও দাঁড়ায়। এভাবে যদি প্রতিটি দোকানে মানুষ দাঁড়ায় তাহলে হাঁটার জায়গাটা কোথায় থাকে। ছেলেরা তো দিব্যি চলে যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা তো হয় আমাদের মতো মেয়েদের। এমন হকারমুক্ত ফুটপাথ অনেকদিন পর পেয়ে হাঁটতে ইচ্ছে করল। তবে এ ধারা বজায় রাখতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। শুধু ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে ব্যস্ততম এসব এলাকায় লাগাতার উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নিউমার্কেট এলাকায় এখন হকাররা সমারোহে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। শীঘ্রই পর্যাক্রমে এখান থেকেও হকার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। তার আগে হকারদের পুনর্বাসন ব্যবস্থার দিকে নজর রয়েছে কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এখনও হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেনি। তারা উচ্ছেদের আগে হকার পুনর্বাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মঞ্জুর-ই-মাওলা জনকণ্ঠকে বলেন, ডিএসসিসির মতো ডিএনসিসিও শীঘ্রই হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করবে। তার আগে হকারদের পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এছাড়া ডিএনসিসির যেসব এলাকায় হকারদের দৌরাত্ম্য রয়েছে সেসব এলাকার ছবি আমরা সংগ্রহ করেছি। কিছুদিনের মধ্যে আমরা মাঠে নামব। এদিকে, সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে হকার উচ্ছেদের অভিযান আরও আগে বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০০১ সালে দেশের উচ্চ আদালত ঢাকাকে হকারমুক্ত করার জন্য নির্দেশনা জারি করার পরও কেটে গেছে দীর্ঘ ১৬ বছর। এর মধ্যে বহুবার উচ্ছেদ অভিযান চলেছে সঙ্গে আদালতও বার বার তাগাদা দিয়েছে। কিন্তু হকারমুক্ত রাজধানী গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এখন হকারমুক্ত ফুটপাথ প্রতিষ্ঠা শুধু নাগরিক দায়িত্বই নয় বরং দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা পালন হিসেবে গণ্য বলে মনে করছেন তারা। বিশিষ্ট স্থপতি এবং পরিবেশ আন্দোলনকারী ইকবাল হাবিব হকার উচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে রাস্তার পাশেই হকারদের ব্যবসা পরিচালনা করার ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মন্তব্য করে জনকণ্ঠকে বলেন, হকার এবং ফুটপাথ নিয়ে জনমনে নানা সংশয় রয়েছে। প্রথমত, ফুটপাথ পথচারীর সার্বভৌম এলাকা। এখানে কোন দল, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ ও হকারদের এক ইঞ্চিও অধিকার নেই। হকারদের ফুটপাথের সাথে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। হকার অর্থাৎ পদচারী ব্যবসায়ীরা পদচারীর মাধ্যমে পদচারীদের জন্য স্বল্প খরচে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে থাকেন। একটি পদচারীবান্ধব সুষ্ঠু নগরীর ফুটপাথের পাশাপাশি হকারদের জায়গাও থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। একটি নগরীর যখন পরিকল্পনা করা হয় তখন পেশাজীবীরা নগরীর বিভিন্ন জায়গা পরিকল্পনার মাধ্যমে রাস্তার ফুটপাথসহ, যাত্রী ছাউনির মতো বিভিন্ন ‘সাইড ওয়ার্ড’ বের করে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় জায়গা থাকা সত্ত্বেও এসব ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। কলকাতা শহরসহ বাইরের দেশগুলোতেও হকারদের জন্য রাস্তার পাশে ব্যবস্থা রাখা আছে। হকারদের জন্য মার্কেট করা হলে কিন্তু তারা আর হকার থাকছে না তারা হচ্ছেন দোকানদার। নগরপিতারা, কাউন্সিলররা, রাজনীতিবিদরা ও বিশেষজ্ঞরাই পারেন পরিকল্পিত পদচারীবান্ধব সুষ্ঠু নগরীর ফুটপাথের পাশাপাশি হকারদের জায়গা করে দিতে, জানালেন তিনি। আরও বললেন, এতে করে নগরায়নের একটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। সেই সঙ্গে উচ্ছেদকৃত হকারদের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নগরপিতারা কাজ করছেন বলে জেনেছি। এক্ষত্রে তাদের ব্যবসার সুযোগে হলিডে মার্কেট ও অনেক ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিদেশে পাঠনোরও ব্যবস্থ্ াকরার বিষয়টি নিশ্চয় হকার সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
×