ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

চারুকলায় কিবরিয়া আন্তর্জাতিক ছাপচিত্র মেলা

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চারুকলায় কিবরিয়া আন্তর্জাতিক  ছাপচিত্র মেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেবিলে বিছিয়ে রাখা হয়েছে চোখ জুড়ানো অজস্র ছাপচিত্র। একইভাবেই গ্যালারিতেও শোভা পাচ্ছে সেসব ছবি। আছে দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের সঙ্গে নবীন শিল্পীদের সৃজিত ছাপাই ছবি। সঙ্গে রয়েছে ভারত, নেপাল ও ভারতের শিল্পীদের নানা মাধ্যমে গড়া ছাপচিত্র। এই বিপুল শিল্পসম্ভার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে রবিবার থেকে শুরু হলো কিবরিয়া আন্তর্জাতিক ছাপচিত্র মেলা। চারুকলা বিভাগযুক্ত দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ অংশ নিচ্ছে এ মেলায়। এছাড়া রয়েছে ছাপচিত্র স্টুডিওসমূহ এবং ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার চারুকলাভিত্তিক পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। সব মিলে যুক্ত হয়েছে দেশ-বিদেশের ২১টি প্রতিষ্ঠান। ‘সবার জন্য ছাপচিত্র’Ñ সেøাগানে ষষ্ঠবারের মতো এ মেলার আয়েজক কিবরিয়া ছাপচিত্র স্টুডিও। রবিবার বিকেলে চারুকলা অনুষদের সামনের লবিতে বসে মেলার উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা। এ আয়োজনে চারুশিল্পে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বরেণ্য শিল্পী ও ছাপচিত্রী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক্্ আল্্ভীকে প্রদান করা হয় আজীবন সম্মাননা। স্মারকের সঙ্গে তাঁকে প্রদান করা হয় সম্মাননার অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকার চেক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের চেয়ারম্যান নিলু রওশন মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী মনিরুল ইসলাম। বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবীর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন। মনিরুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ছাপচিত্রের জগতটা বড় অদ্ভুত। এটা সহজেই সংযুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কারণ, খুব স্বল্পমূল্যে এই মাধ্যমে চিত্রিত চিত্রকর্ম সংগ্রহ করতে করতে পারেন শিল্পরসিকরা। এ দেশের ছাপচিত্রকমে বিশ্বমানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে উডকাটের চমৎকার কাজ হচ্ছে। ইউরোপেও তেমনটা হয় না। তাই ছাপচিত্রের ক্ষেত্রে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের শিল্পীরা গড়ে নিয়েছে স্বতন্ত্র অবস্থান। ছোট, বড় ও মাঝারি আকৃতির চিত্রকর্মগুলো বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়। তিনদিনের এ মেলা শেষ হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। আনন্দ আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্্যাপন ॥ আনন্দ আয়োজনে উদ্্যাপিত হলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রবিবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি। সকালে একাডেমির নন্দন মঞ্চে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ একাডেমির কর্মকর্তা, শিল্পী ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা ও শিল্পকলা একাডেমির পতাকা উত্তোলন করে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। এরপর শুরু হয় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৩নং গ্যালারিতে একাডেমির ৪৩ বছরের কার্যক্রমের প্রদর্শনী। বিকেল থেকে একাডেমি প্রাঙ্গণ নন্দন মঞ্চে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিল্পকলা একাডেমি এ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় পরিবেশনায় এ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। রবীন্দ্র সরোবরে একুশের অনুষ্ঠানমালা ॥ ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’Ñ সেøাগানে চলছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হওয়া দুই সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনটি বর্তমানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবরে। রবিবার ছিল ভাষাশহীদদের নিবেদিত আয়োজনটির দ্বাদশ দিন। এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলমান অনুষ্ঠানে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সুরধ্বনি। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আশিকুর রহমান, আরিফ রহমান, শুভ্রা দেবনাথ ও মীরা ম-ল। পথনাটক পরিবেশন করে আরণ্যক ও অপেরা। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি একাডেমি ও স্বরশ্রুতি। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন দিলশাদ জাহান পিউলি ও মাসুদ আহমেদ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে আঙ্গীকাম। শিশু-কিশোর পরিবেশনায় অংশ নেয় মানিকগঞ্জ শিশু ফোরাম। একই স্থানে আজ সোমবার ১৩তম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে চারটায়। বিভিন্ন সংগঠন পরিবেশন করবে দলীয় আবৃত্তি, একক আবৃত্তি, দলীয় সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, দলীয় নৃত্য, শিশু-কিশোর পরিবেশনা ও পথনাটক। আনিস আহমেদের কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ॥ প্রকাশিত হলো ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক আনিস আহমেদের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘অন্তরপুরের নিরন্তর শব্দ’। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে উৎসর্গকৃত বইটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিশার্স থেকে। রবিবার বিকেলে কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে। ছিল কাব্যগ্রন্থটির ওপর আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আসর। অনুষ্ঠানে কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন কথাশিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ফখরুল আলম, অধ্যাপক আহমেদ রেজা প্রমুখ। আনিস আহমেদের সদ্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ থেকে বাছাইকৃত ১২টি কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যয়ার, নাশিদ কামাল, সাইদা সৈয়দসহ কয়েকজন আমন্ত্রিত বাকশিল্পী। এছাড়া আনিস আহমেদ তাঁর কাব্যগ্রন্থ থেকে কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন। অনুভূতি প্রকাশ করে বেতার সাংবাদিক ও কবি আনিস আহমেদ বলেন, অন্তরপুরের নিরন্তন স্বপ্ন বইয়ের সম্বলিত প্রায় সব কবিতাই প্রকাশিত হয়েছে আমার ফেসবুক পাতায়। স্বদেশে বিদেশে পাঠক-পাঠিকাদের অনুকূল সাড়া আমাকে উজ্জীবিত করেছে বারবার, সেই প্রেরণারই সম্ভবত সদর্থক ফসল হচ্ছে আমার কবিতার বই। তিনি আরও বলেন, আজ আনন্দ হচ্ছে এ কথা ভেবে, আমার এই কবিতার বইটি আমি উৎসর্গ করতে পারছি সর্বজন শ্রদ্ধেয় প-িতজন বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে।
×