ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে পাকিস্তানের প্রোপাগান্ডা ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ : মিথস এক্সপ্লোডেড’ নামক বই;###;এই বইয়ে পাকিস্তান বাহিনীর হত্যাকা-ের ছবিকে একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা বিহারীদের হত্যা করেছে বলে দেখানো হয়েছে;###;সংসদে তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার প্রধানমন্ত্রীর

পাকিস্তানের কাছে দ্রুতই আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ ॥ দুঃসাহস পায় কিভাবে

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পাকিস্তানের কাছে দ্রুতই আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ ॥ দুঃসাহস পায় কিভাবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা একাত্তরের ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা চালানোর পর এখন পাকিস্তান মিথ্যা তথ্য দিয়ে বই ছাপিয়ে তাদের কৃতকর্ম উল্টো মুক্তিবাহিনীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এ নিয়ে মিথ্যাচার সংবলিত বই ছাপিয়ে তা আবার বাংলাদেশের কাছে পাঠানোর দুঃসাহস পাকিস্তান পায় কিভাবে? আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাই। দেশের পক্ষ থেকে দ্রুতই পাকিস্তানের কাছে আমরা আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাব। তিনি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ অবশ্যই গণহত্যা দিবস, এতে কোন সন্দেহ নেই। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এই দিবসটি পালিত হয় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রয়োজনীয় সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়ে জোর দাবি জানানো হবে। আর জাতীয় সংসদেও ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয় সেজন্য প্রস্তাব আনা যেতে পারে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি দেশবাসীকেও পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কারা পরাজিত শক্তিদের মদদ দিচ্ছে তাদের সম্পর্কেও দেশের জনগণের জানা উচিত। খালেদা জিয়া যেভাবে একাত্তরে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিদেশী প্রভুদের (পাকিস্তান) সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তারই প্রতিফলন হচ্ছে মিথ্যাচার করে বই ছাপিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে পাকিস্তান। সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টির অবতারণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর মদদে পাকিস্তানের জুনায়েদ আহমেদের লেখা ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ : মিথস এক্সপ্লোডেড’ বই লিখে তাতে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক এদেশের গণহত্যাকে মুক্তিবাহিনীর হত্যাকা- হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। বইটি সংসদে দেখিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এর প্রতিবাদ জানান এবং ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরাও নিজ নিজ আসনে দাঁড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি প্রসঙ্গে সভাপতির আসনে থাকা স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সকল সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যেই একজন সংসদ সদস্য সংসদ সচিবালয়ে একটি নোটিস জমা দিয়েছেন। ওই নোটিস এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী তা গ্রহণ করে অগ্নিঝরা মার্চের যেকোন একটি দিনে এ নিয়ে সাধারণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। তোফায়েল আহমেদের দাবির প্রতি একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই-সংগ্রাম ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কারোর হুইসেলে আমাদের স্বাধীনতা আসেনি। একাত্তরে জেনারেল ইয়াহিয়া বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা সবারই জানা। বাংলাদেশজুড়ে হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা শুধু দেশেই নয়, পাকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক বহু দেশেই তথ্য রয়েছে। এখন পাকিস্তান তাদের যে এই কৃতকর্ম, যে গণহত্যা চালিয়েছিল তা উল্টো মুক্তিবাহিনীর ওপর দোষ দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের জন্য এটি লজ্জার বিষয়। এমন বই লেখার এবং তা বাংলাদেশে পাঠানোর সাহস তারা (পাকিস্তান) কোথা থেকে পেল! এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যার স্বামী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সেই নেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়নি! যে কথাটি দেশের প্রত্যেকটি মানুষ জানে ও স্বীকার করেন। আর সেখানে সেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই বিদেশী প্রভুদের সুযোগ করে দেয়া- এটাই বোধহয় তার (খালেদা জিয়া) ইচ্ছা ছিল। তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি- পাকিস্তান বই ছাপিয়ে সেটা আবার বাংলাদেশে পাঠায়। এত বড় দুঃসাহস তাদের কোথা থেকে এলো সেটাই আমাদের প্রশ্ন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে স্বাধীন। তাদের (পাকিস্তান) ধারণা ছিল, বাংলাদেশ বোধহয় স্বাধীন হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। সেই ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারা ঘটিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরাজিত শত্রুরা ভেবেছিল বাংলাদেশ ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত হয়নি। বাংলাদেশ আজ সফল। সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। এটাই বোধহয় পাকিস্তানী জান্তাদের গাত্রদাহ। এটাই তাদের জ্বালা। এটাই তারা সহ্য করতে পারছে না। যে কারণে আজকে তারা মিথ্যাচার করছে। আজকে তারা এই গণহত্যাকে এখন চাপাতে চাচ্ছে মুক্তিবাহিনীর ওপর। এটা কোনদিনই গ্রহণযোগ্য নয়। পাকিস্তান যে গণহত্যা চালিয়ে অপরাধ করেছে তার জন্য তাদের বার বার বলা হয়েছে, তোমরা মাফ চাও। তারা মাফ তো চায়নি, উল্টো এখন তাদের অপকর্মের দায়ভার আমাদের মুক্তিবাহিনীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এটা বাংলাদেশের কাছে কোনদিন গ্রহণযোগ্য নয়। এটা কখনও মেনে নেয়া হবে না। পাকিস্তানের কাছে এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান এমন ধরনের বই তৈরির কারণে তাদের আমরা ধিক্কার জানাই। আমাদের দেশ থেকে কারা তাদের মদদ দেয় এটাও দেশবাসীর জানা উচিত। দেশবাসীকে এটাও দেখতে হবে তারা (বিএনপি-জামায়াত জোট) এখনও বিদেশী প্রভুদের ভুলতে পারে না। এখনও বিদেশী প্রভুদের তোষামোদি করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামসরা গণহত্যা শুরু করেছিল। সেনাবাহিনীতে আমাদের বাঙালী অফিসার যারা ছিল চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাদের হত্যা করে। পুলিশ বাহিনীকে হত্যা করে। আমাদের পিলখানায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তা প্রচারের কারণে ইপিআরসহ আনসার বাহিনীকে হত্যা করে। তারা কাউকেও বাদ দেয়নি। সারাদেশেই তারা গণহত্যা চালিয়েছে। আমাদের মা-বোনদের নির্যাতন ও ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানী বাহিনী যেভাবে এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে আমি মনে করি আমাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আমাদের গ্রহণ করতে হবে। এজন্য যথাযথভাবে একটি প্রস্তাব আমরা সংসদে আনতে পারি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছেও সমস্ত তথ্য দিয়ে আমরা এটা প্রচার করব এবং দাবি জানাব। যাতে করে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান সকল যুদ্ধাপরাধীকে মুক্তি দিয়ে ভোটের ও রাজনীতির অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে পুনর্বাসনও করেছিলেন। এদের হাতেই লাখো শহীদের রক্ত¯œাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আর তার স্বামী এসব যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, বিচারের রায়ও কার্যকর হচ্ছে। এ কারণেই বোধ হয় তাদের (পাকিস্তান) টনক নড়েছে। আজকে তাদের জন্য কাদের মায়া কান্না, সেটা তো আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই পরাজিত শক্তি আবার অপপ্রচার শুরু করেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। পাকিস্তানের কাছে এ ব্যাপারে আমরা আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথায় কোথায় গণকবর রয়েছে, কারা হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করার আমরা চেষ্টা করছি। আর একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে কীভাবে গণহত্যা চালিয়েছে তা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। আমরা দেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা শুরু করেছি, তা অব্যাহত রাখতে হবে। আর অন্ধকার নয়, আমরা যে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি তাও অব্যাহত রাখতে হবে দেশবাসীকে। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের কথা দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই দিনে কোন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। ওই নির্বাচনে জনগণের ভোট চুরি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও দ-িত খুনীদের সংসদে এনে বসিয়েছিলেন তিনি। খুনী কর্নেল রশীদকে বিরোধী দলের নেতার আসনে বসিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এটাই হলো খালেদা জিয়ার আসল চরিত্র। এর আগে ঘটনাটি জাতীয় সংসদের দৃষ্টিতে এনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, পাকিস্তানের জুনায়েদ আহমেদের লেখা একটি বই বেরিয়েছে। বইটাতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও ৩০ লাখ শহীদ সবকিছুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে এই বইটি পাঠিয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই। আমি নিন্দা জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছি। ৩০ লাখ শহীদ, এক কোটি লোক গৃহহারা ও লাখো মা-বোনের লাঞ্ছিত হওয়ার সমস্ত ঘটনাই ওই বইয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করা হয়েছে। একটি ঐতিহাসিক ছবি আছে যেটি বিশ্বব্যাপী পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, লেখা আছে ‘ম্যাসাকার অব পাকিস্তানী আর্মি’। পাশে নিহত রিক্সাওয়ালার ছবি পড়ে আছে। সেই ছবিটাকে তারা (পাকিস্তান) ক্যাপশন দিয়েছে ‘ম্যাসাকার অব অর্ডিনারি সিভিলিয়ান্স বাই মুক্তিবাহিনী ইন ’৭১’। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। তিনি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করে বলেন, যেহেতু বিরূপ প্রচার হচ্ছে সেজন্য ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আমাদের চিহ্নিত করা উচিত এবং প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করব। তিনি বলেন, পাকিস্তানের আইএসআই সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের কত বড় দুঃসাহস এই বিকৃত বইটি লিখে সেটি আমাদের হাইকমিশনে পাঠায়। আমরা সংসদ থেকে এর নিন্দা জ্ঞাপন করি। বইটা আমাদের নিষিদ্ধ করার কিছু নেই, ওটা পাকিস্তানের বই। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত এই বইয়ের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের হুবহু মিল রয়েছে।
×