ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসডিজি অর্জন করার তাগিদ

এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বছর শেষে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘রিজিওনাল ইন্টিগ্রেশন টু এ্যাচিভ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ রফতানিনির্ভর ছিল কৃষির ওপর আর এখন তা শিল্পের ওপর। এক সময় আমাদের দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো আর এখন অর্থনীতিতে আমরা রোল মডেল। প্রতি বছরই বাড়ছে জিডিপি। আশা করছি চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, শিল্প টেকনোলজিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব কি-না তা নিয়ে এখন আর কোন সংশয় নেই। আমরা নিশ্চিত এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পারব। অন্যদিকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন) ওয়েন চাই ঝাং বলেন, সাসটেইনেবল উন্নয়নের জন্য সমন্বয় খুব জরুরী। উন্নয়নের জন্য নেয়া সব প্রকল্পের মধ্যে সুষম সমন্বয়ের দিকে নজর দিতে হবে। পিপিপির মাধ্যমে নানা প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে তা ভাবতে হবে। বেসরকারী খাতকে উৎসাহ দিতে হবে। কিভাবে বহুমুখীকরণ অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। শুধুমাত্র দু’-একটি খাতের ওপর নির্ভর করে শক্ত অর্থনীতি তৈরি করা যায় না। এজন্য আমরা আগ্রহী দেশগুলোকে সহায়তা আগেও দিয়েছি, সামনেও দেব। শক্ত অর্থনীতি তৈরি করতে হলে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ ইএনসিটিএডির সেক্রেটারি জেনারেল মুখিসা কিটুয়ি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গহর রিজভী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। আলোচনাকালে পারস্পরিক আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। একই সঙ্গে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তারা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, সন্ত্রাসবাদ, দরিদ্রতা, পানি বণ্টন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সংঘাত নয়; আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, দরিদ্রতা আমাদের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। এছাড়া কানেকটিভিটি, পাওয়ার, ট্রান্সপোর্টও এসডিজি অর্জনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমাদের প্রাইভেট সেক্টরও অনেক এ্যাকটিভ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসিডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসডিজি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য একটি লক্ষ্যমাত্রা। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের মনিটরিং ও তত্ত্বাবধান প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড নেশন এ্যান্ড এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি অব ইএসসিএপির আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. শামসাদ আক্তার বলেন, গ্লোবাল জিডিপিতে প্রাইভেট সেক্টরের অবদান ৯০ শতাংশ। তাই এসডিজি অর্জনে প্রাইভেট সেক্টরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
×