ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু শ্রম নিরসনে আবার কর্মপরিকল্পনা করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শিশু শ্রম নিরসনে আবার কর্মপরিকল্পনা করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া বলেছেন, ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার ২০১২ সালে পাঁচ বছর মেয়াদী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১২-২০১৬) প্রণয়ন করে। শিশু শ্রম নিরসনে সরকারের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে এবছর পুনরায় এ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখেই এ কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাস ডিএফএটি অস্ট্রেলিয়া সরকার, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর সার্ভিসেস এ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজএ্যাবিলিটি (সিএসআইডি)’র সহায়তায় আজ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি মীর শওকত আলী বাদশার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ককাসের সদস্য কবি কাজী রোজী, জেবুন্নেসা আফরোজ, উম্মে রাজিয়া কাজল, কামরুন নাহার চৌধুরী, এ্যাডভোকেট হোসনে আরা, লুৎফা ডালিয়া, সামসুল আলম দুদু, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, লুৎফা তাহের, আবুল কালাম, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব ড. এনামুল হক। সভায় সংসদ সদস্য, শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শিশু শ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। ডেপুটি স্পীকার গৃহশ্রমে নিযুক্ত শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’-এর আলোকে একটি আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, যেসব শিশুরা জীবিকার প্রয়োজনে এলাকা ত্যাগ করবে তাদের অভিভাবকদের অবশ্যই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, স্থানীয় থানা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিস্তারিত তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ককাসের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি পাঠানোর পরামর্শ দেন। মীর শওকত আলী বাদশা শিশু শ্রম নিরসনে শিশু বাজেটের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আসন্ন বাজেটে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানান। বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনার জন্য শীঘ্রই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা শিশু বাজেটের অর্থ দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভবন সংখ্যা বৃদ্ধি, সরকারী শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর উন্নয়ন, সব শিশুর জন্য সমহারে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খাবারের মান বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেন। অনুষ্ঠানে শিশু অধিকার বিষয়ক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, আইএলও, ইডুকো, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স, ডেমোক্রেসি ওয়াচ, সীপ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, শাপলা নীড়, অপরাজেয় বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিগণ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
×