ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে বাড়ছে উচ্চশিক্ষিত বেকার

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দেশে বাড়ছে উচ্চশিক্ষিত বেকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর উচ্চশিক্ষা শেষে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষার্থী কর্মক্ষেত্রে পা রাখেন। কিন্তু দেশে চাকরির সংখ্যা না বাড়ায় শিক্ষিত বেকারের হার বাড়ছে। মাধ্যমিক শেষ না করে যে ৪০ শতাংশ তরুণ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ঝরে পড়ছে তারাও যোগ হন চাকরিহীন মানুষের পরিসংখ্যানে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, কর্মসংস্থান তরুণদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনেকটাই অন্ধকারে বাংলাদেশে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি দর্শনে পড়াশুনা করি। কিন্তু এ বিষয়ের ক্ষেত্রে চাকরির অবস্থা খুব ভাল দেখি না।’ কিন্তু এই শিক্ষার্থীর মতো অনেকেই জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষে, ভবিষ্যত কি। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, যারা এ্যাপ্লাইড সাইন্সের শিক্ষার্থী না বা যারা আর্টস এমনকি পিওর সাইন্সের শিক্ষার্থী তাদের জন্য বাংলাদেশে চাকরি যথেষ্ট অপ্রতুল। আবার অনেকেই ঠিক করে রেখেছেন পড়াশুনা শেষ করে সরকারী চাকরির পরীক্ষায় বসবেন। তবে সে পথ সহজ নয়। তার জন্যও আলাদা করে তৈরি করতে হয় নিজেকে। তাও সেই চেষ্টাও চালাতে হয় বছরের পর বছর। সরকারী চাকরি ছাড়া উচ্চশিক্ষিত বেকারদের উপায় হলো বেসরকারী চাকরি। বেসরকারী পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষিজাত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাত, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণ ও তৈরি পোশাক খাত, পর্যটন ও পর্যটন সেবা, কারিগরি নির্মাণ খাতকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়। কিন্তু এসব খাতের জন্য বিশেষায়িত ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষিতকর্মী অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রযুক্তিবিদ মুনির হাসান বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকগুলো এখন সব দারুণভাবে প্রযুক্তিভিত্তিক হয়ে গেছে। সেখানে কেন আমাদের কম্পিউটার সাইন্সের ছেলেমেয়েদের ইন্টার্নি করা সুযোগ দেয় না। সে প্রথম বর্ষ থেকেই করুক। এটা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝতে হবে যে, সে দশদিন আইটি রুমে বসে আছে। এটা তার অধ্যয়নেরই অংশ।’ কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের তৈরি তারুণ্য উন্নয়ন সূচকে ১৮৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম। সূচকে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে তরুণদের কর্মসংস্থান ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রটি। যা নির্ভর করে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ওপর। শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষাব্যবস্থা কর্মমুখী না হওয়ায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলছে।
×