ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

সিলেটে দশ দিনব্যাপী বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সিলেটে দশ দিনব্যাপী বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে মানবিক সমাজ গড়তে শিল্প-সাহিত্যের নানা শাখায় নিরলসভাবে কাজ করছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এবার সংস্কৃতিচর্চাকে আরও গতি করতে রাজধানীর বাইরে বহুমাত্রিক অনুষ্ঠানমালার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে ‘মানবিক সাধনায় বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব’। শহরের আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিতব্য উৎসবটি সাজানো হয়েছে বর্ণিল আয়োজনে। বহুমাত্রিক এ উৎসবে উপস্থাপিত হবে বাঙালী সংস্কৃতির চিরায়ত ঐতিহ্য, সমকালীন জীবনসংস্কৃতি ও জীবনধারা। মনমাতানো নৃত্য-গীতের পরিবেশনার সঙ্গে থাকবে নাট্য ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং চারুশিল্পের উপস্থাপনা। এছাড়া উৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনের সাহিত্য সম্মেলন। জাতীয় অধ্যাপক জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত উন্মুক্ত উৎসবটি অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারবেন দর্শক-শ্রোতারা। নিবন্ধন করতে হবে িি.িনবহমধষভড়ঁহফধঃরড়হ.ড়ৎম ঠিকানায়। ইনডেক্স গ্রুপ নিবেদিত আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে ঢাকা ব্যাংক। সম্প্রচার সহযোগী হয়েছে চ্যানেল আই। উৎসব উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, জাতিসংঘের বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এমন মোমেন ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। ওয়ার্দা রিহাব ও তাঁর দলের মণিপুরী নৃত্য পরিবেশনায় সংবাদ সম্মেলনটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২২ ফেব্রুয়ারি উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বহুমাত্রিক এ আয়োজনে রেজওয়ানা চৌধুরী, খায়রুল আনাম শাকিল, অদিতি মহসিন, চন্দনা মজুমদার, জলের গান, কুদ্দুস বয়াতীসহ বাংলাদেশের ৩৮৩ জন সঙ্গীতশিল্পী-নৃত্যশিল্পী, চিত্রকর, নাট্যশিল্পী এবং কবি ও লেখক অংশগ্রহণ করবেন। সঙ্গীত পরিবেশনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের শিল্পী হৈমন্তী শুকলা, শ্রীকান্ত আচার্য, মনোময় ভট্টাচার্য, জয়তী চক্রবর্তী ও পার্বতী বাউলকে। উৎসবের অন্তর্ভুক্ত সুবীর চৌধুরী আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেবেন বিশিষ্ট চিত্রকর রফিকুন নবী, মনিরুল ইসলাম, শহিদ কবির, রোকেয়া সুলতানা, জামাল আহমেদ, শিশির ভট্টাচার্য, তৈয়বা লিপিসহ ২৭ জন শিল্পী। ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য কালি ও কলম সাহিত্যসভায় অংশ নেবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, ইমদাদুল হক মিলন, হরিশংকর জালদাস, শাহীন আখতার, প্রাবন্ধিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সনৎকুমার সাহা, শামসুজ্জামান খান, কবি কায়সার হক, রুবি রহমান, রবিউল হুসাইন, তারিক সুজাতসহ দেশের ৫০ জন কবি ও লেখক। এ সভায় যোগ দেবেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার, প্রথিতযশা মঞ্চ-অভিনেতা ও নির্দেশক শাঁওলি মিত্রসহ ভারতের ২৩ জন প্রাবন্ধিক, কবি ও সাহিত্যিক। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন নেপালের দুই বিশিষ্ট লেখক। উৎসবে দশ জেলার কারুশিল্প নিয়ে থাকবে কারুমেলা। এর বাইরে উৎসব আঙিনায় থাকবে দেশের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ও ঐতিহ্যবাহী খাবার। থাকবে বইমেলা। উৎসবের বিভিন্ন দিনে উপস্থাপিত হবে সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী ঝুমুর, ধামাইল, সুফি ও সাধনসঙ্গীত, চা জনগোষ্ঠী, মণিপুরী ইত্যাদি আঞ্চলিক গান ও নাচ। সিলেটের ঐতিহ্য ও উল্লেখযোগ বৈশিষ্ট্য নিয়ে থাকবে ডিজিটাল ডিসপ্লে। অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে উৎসবে প্রবেশের পাস সংগ্রহ করতে হবে। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে নিবন্ধন কার্যক্রম। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে নিবন্ধনের আবেদনপত্রে।
×