ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ঝলক

ভবিষ্যতের স্মার্টফোন হবে আঠালো! আধুনিক প্রযুক্তি দ্রুত বদলাচ্ছে। এতে মোবাইল ফোন যেন এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে। তবে ভবিষ্যতের স্মার্টফোন কেমন হতে পারে-এ বিষয়ে জানার আগ্রহ সকলের। এসব লোকে জন্য সম্প্রতি নতুন এক ধরনের মোবাইলের ‘নমুনা’ প্রকাশ করেছেন ফরাসী ডিজাইনার ফিলিপ স্টার্ক ও জেরোমি অলিভেতর। এতে তারা দেখিয়েছেন ভবিষ্যতের মোবাইল ফোন হবে স্বচ্ছ আঠার মতো। এতে কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রণ ও ফেস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এটি দেখতে অনেকটা খেলনার মতো। তারা এই মোবাইলের নাম দিয়েছেন ‘আলো’। এই ফোন এমনভাবে তৈরি হবে, যাতে হাতের মুঠোর মধ্যে রাখা যায়। কণ্ঠস্বরের সাহায্যে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যখন ব্যবহারকারী এই মোবাইলে কোনও বার্তা পড়তে বা ছবি দেখতে চাইবে এর মধ্যে থেকে একটি থ্রিডি ডিভাইস বের হয়ে আসবে। ডিজাইনার অলিভেতর বলেছেন, পুরো ফোনের সব ফিচার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে চালানো যাবে। এ ফোনের স্বচ্ছ স্ক্রিনের সাহায্যে বিদু্যুত উৎপাদিত হবে। ফোনের শরীরে আঁচড় বা অন্য কোন সমস্যা হলে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক হয়ে যাবে। ফোনটি পড়ে গেলেও কোন ক্ষতি হবে না। ফ্রান্সের বিখ্যাত ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি থমসন এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের চিন্তাভাবনা করছে। -দ্য ম্যাব অবজারভার অবলম্বনে। অদম্য মরিয়ম! সিরিয়ার আলেপ্পো মানেই যেন এখন যুদ্ধ, অবরোধ, হতাশা আর ক্ষুধা। কিন্তু আলেপ্পোর এক নারী মরিয়ম হাম্মাদের সামনে এসব দুর্বিষহ প্রপঞ্চ বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। পড়াশোনার প্রবল তৃষ্ণা তাকে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে। ভয়াবহ মৃত্যু আর আতঙ্কের মাঝেও তিনি তার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। খবরে বলা হয়েছে, চার বছর আগে স্কুলের পাট শেষ করেন মরিয়ম। মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডিতে পা রেখেছেন। এমন সময় গৃহযুদ্ধের আগুনে ঝলসে যায় তার শিক্ষাজীবন। রকেট হামলায় ধ্বংস হয় আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়। ২২ বছর বয়সী মরিয়ম বলেন, আমার শহরটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো। আমার বিশ্ববিদ্যালয় গুঁড়িয়ে গেল মাটির সঙ্গে। আমার কয়েকজন সহপাঠী নিহত হলো। তবে আমি দমে যাইনি। আমার ভেতর পড়াশোনার তৃষ্ণা ছিল। তখন মরিয়ম ঠিক করলেন, তার নিহত সহপাঠীদের সম্মানে হলেও তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ই তো নেই। পড়াশোনা করবেন কোথায়? শেষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব দ্য পিপলসে অনলাইনে পড়াশোনা শুরু করেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন দুবছর ধরে বিদ্যুত সংযোগ নেই। তবু আমাকে পড়াশোনার চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। বাজার থেকে ছোট একটা জেনারেটর কিনে এনেছেন মরিয়ম। তাতে মোবাইলে চার্জ দেয়া হয়। আর এভাবে চলে তার অনলাইন পড়াশোনা। -লিবিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে।
×