স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ শনিবার রাতে ঈশ্বরদী পাবনা রোডের ডুলটি বাজারের কাছে পুলিশ পরিচয়ে মাছ ব্যবসায়ী হাফিজকে (৩০) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। হাফিজ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় গতিরোধ করে এ ঘটনা ঘটানো হয়। হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন না হলেও কেউ কেউ বলছেন অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করার উদ্দেশেই হত্যাকা- করেছে। আবার পুলিশ বলছে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে হত্যাকা- হয়েছে।
জানা গেছে, ডুলটি এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী হাফিজ দাশুড়িয়া বাজার থেকে মাছ বিক্রি শেষে ভ্যানচালক আব্বাস আলীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ডুলটি বাজারের কাছে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেল নিয়ে তিন সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে বলে আমরা পুলিশের লোক। তোমরা ইয়াবা ব্যবসা কর বলেই হাফিজকে ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর দ্রুত তাকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
ফরিদপুরে শ্বশুর
নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, সদরপুরে জামাই আমিনউদ্দিন ভূঁইয়া তার শ্বশুর তোফাজ্জেল হোসেনকে হত্যা করেছে। এ অভিযোগে রবিবার সদরপুর থানায় জামাইকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম।
জামাই আমিনউদ্দিন ভূঁইয়া সদরপুর ইউনিয়নের নয়রশি গ্রামের বাসিন্দা আজিমউদ্দিনের ছেলে। ১৫ বছর আগে তার সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের গফুর মাতুব্বরেরডাঙ্গি গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে ওজুফা বেগমের সঙ্গে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের অভিযোগে এক সপ্তাহ আগে আমিনউদ্দিন ভূঁইয়াকে (৩৮) স্ত্রী ওজুফা বেগম (৩২) তালাক দেয়। এ নিয়ে শুক্রবার সদরপুরে সালিশ হয়। সালিশে ওজুফা বেগম স্বামীর হাতে প্রতিনিয়ত মারধরের কারণে স্বামীকে তালাক দেয় এবং স্বামীর ঘরে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।
সালিশের পর পরই শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জামাতা আমিন উদ্দিন ভূঁইয়া শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শ্বশুর তোফাজ্জেল হোসেনকে (৭০) বাড়ির উঠানের পাশে থাকা টিউবয়েলের হাতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তোফাজ্জেল গুরুতর আহত হন। রাতে তোফাজ্জলকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তোফাজ্জেলকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার রাতে ঢাকায় নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: