ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মোট বিনিয়োগ জিডিপির ৩২ শতাংশে উন্নীত হবে ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৮:০১, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

মোট বিনিয়োগ জিডিপির ৩২ শতাংশে উন্নীত হবে ॥ মুহিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের মোট বিনিয়োগ জিডিপির ৩২ শতাংশে উন্নীত হবে। একইসঙ্গে যেভাবে উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই বছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে পৌছাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ‘বর্তমান সরকারের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুহিত বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের মোট বিনিয়োগ জিডিপির ৩২ শতাংশ হবে। আর উন্নয়নের ধারবাহিকতা বজায় থাকলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পৌছবে ৮ শতাংশে। উল্লেখ্য, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে দেশের মোট বিনিয়োগ ছিল ২৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ ২৩ শতাংশ এবং সরকারী বিনিয়োগ ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সাধারণত এক শতাংশ প্রবৃদ্ধির জন্য ৪ শতাংশ হারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়। তাই ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে সাধারণ নিয়মে মোট জিডিপির ৩২ শতাংশ বিনিয়োগ প্রয়োজন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগতদিনে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ তেমন বাড়েনি। এর মূল কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা। শান্তিশৃঙ্খলা একটি দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহায্য। বর্তমানে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রয়েছে। ফলে আমরা আশা করি আগামী ২০৪১ মধ্যে বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবো। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনীধি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ভালো। তবে টেকসই উন্নয়ন করতে হলে আমাদের বেশ এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে আমরা নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে রয়েছি। যা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি করতে হলে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। এর মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা দুরীকরণ, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র বের করা, প্রশাসন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানো, মানব সম্পদের মানউন্নয়নে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির, ডেপুটি গবর্নর আবু হেনা মোহাঃ রাজী হাসান, সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ও এস.এম মনিরুজ্জামান, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ব্যাংক শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান।
×