ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে খোলা মাঠে রাখা সার নষ্টের পথে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭

মাদারীপুরে খোলা মাঠে রাখা সার নষ্টের পথে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৪ জানুয়ারি ॥ জেলার রাজৈর টেকেরহাট বন্দরের বাফার গুদামে সৌদি আরব থেকে আমদানি করা ১২ হাজার টন ইউরিয়া সার বিক্রি না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আবার দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে সার জমাটবেঁধে যাওয়ায় সেগুলোকে বস্তা খুলে বের করে শ্রমিক দ্বারা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ভাঙ্গা হচ্ছে। এতে সরকারকে আরও লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ কারণে চলতি মৌসুমে বাফার গুদামে সার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে। জানা গেছে, গত ইরি-বোরো মৌসুমে সরকার সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করে। যার মধ্যে মাদারীপুর-গোপালগঞ্জের আওতাভুক্ত টেকেরহাট বাফার গুদামে ৪৪ হাজার টন ইউরিয়া সার ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রির জন্য বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ওই মৌসুমে ৩২ হাজার টন সার বিক্রি হয়। ১২ হাজার টন ইউরিয়া সার বিক্রি না হওয়ায় বাফার গুদামে প্রায় এক বছর খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। এতে সারের গুণগত মানের ক্ষতিসাধন হয়। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকার কারণে বস্তার চাপে সারগুলো পাথরের মতো জমাটবেঁধে গেছে। এতে সারের গুণগত মান হ্রাস পেয়েছে বলে ধারণা কৃষিবিদদের। চলতি মৌসুমে সারগুলো বিক্রির জন্য গুদামের ভেতরেই জমাট হওয়া সার শ্রমিক দ্বারা ভাঙ্গা হচ্ছে। এতে সরকারকে আরও লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে টেকেরহাট বাফার গুদামের উপব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, দীর্ঘদিন ইউরিয়া সার পড়ে থাকায় বস্তায় জমাটবেঁধে গেছে। তাই ডিলারদের কাছে সারগুলো সহজে বিক্রি করার জন্যই মূলত বস্তা খুলে শ্রমিক দিয়ে তা ভেঙ্গে ভেঙ্গে জমাট ছাড়ানো হচ্ছে। গত বছর বরাদ্দকৃত সার বিক্রি করতে না পারার কারণে চলতি মৌসুমে সারের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে গণঅনশন স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে পালিত হচ্ছে গণঅনশন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে শুরু হয়েছে এ কর্মসূচী। রাজশাহী নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত গণঅনশন চলে বেলা দুটা পর্যন্ত। বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি বাতিল, সাইনবোর্ড ফি প্রত্যাহার এবং সহনীয় পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের দাবিতে এ কর্মসূচী পালন করে নগরবাসী। এর আগে এ নিয়ে গত ১১ ডিসেম্বর নগরজুড়ে আধাবেলা হরতালও পালিত হয়। এরপর দাবি বাস্তবায়নে নগর কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দেয় রাজশাহী নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। নগরবাসীর এ দাবি বাস্তবায়নে রাসিক কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে গণঅনশনের ডাক দেয়া হয়। অনশন কর্মসূচী থেকে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবার ঘোষণা দিয়েছে পরিষদ। এদিকে, গণঅনশন চলাকালে সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন রাজশাহী নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট এনামুল হক, সদস্য সচিব ফরিদ মাহমুদ হাসান, প্রচার সম্পাদক এ্যাডভোকেট হোসেন আলী পেয়ারা প্রমুখ। গণঅনশনে সংহতি জানিয়ে এতে অংশ নিয়েছেন নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষ।
×