স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে ধানম-ির নগর অফিসে (বাড়ি # ৫৮, রোড # ৮/এ, ঢাকা-১২০৯) নিবন্ধনকৃত গ্র্যাজুয়েটদের গাউন বিতরণ শুরু হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ শিক্ষার্থীদের হাতে গাউন তুলে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। প্রতিষ্ঠার ২৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম সমাবর্তন আয়োজন করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। অনেকে গাউন হাতে পেয়েই তা পরিধান করে গেটের বাইরের সড়কে জড়ো হয়ে ছবি তোলায় মেতে ওঠেন। আজ ও আগামীকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একই স্থান থেকে গাউন বিতরণ চলবে। আগামী ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেল ৩টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ উপস্থিত থেকে গ্র্যাজুয়েটদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রী প্রদান করবেন। এর আগে সমাবর্তন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবর্তন উপলক্ষে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে সেশনজট অনেক কমে এসেছে।
এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের টানা অবস্থান ॥ এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো কর্মসূচী পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ৯৮ শতাংশই বেসরকারী ব্যবস্থাপনা নির্ভর। প্রাইমারী স্কুল, নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা এবং কলেজসহ প্রায় ৬ হাজারের মতো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে। যা এ স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক চতুর্থাংশ। এসব প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ১০-১৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কর্মরত এসব শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ফলে মানসম্মত শিক্ষাদান কঠিন হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হলে একে একে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় তারা দুই দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে আছে- সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করতে হবে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগদানের তারিখ হতে চাকরির বয়স গণনা করতে হবে। অবস্থান কর্মসূচীতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ এশারত আলী, সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষন রায়সহ ঢাকার বাইরে থেকে আসা শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।