ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লবণচাষী উপকৃত হবে

উপকূলে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষী

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৮ জানুয়ারি ২০১৭

উপকূলে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষী

জোবাইর চৌধুরী, নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলে চলছে লবণ উৎপাদনের মৌসুম। এখানকার লবণচাষীরা দিনের পুরোটা সময়ই ব্যয় করছেন এখন লবণ উৎপাদনে। বাঁশখালীর উপকূলের পশ্চিম চাম্বল ডেপুটি ঘোনা, গন্ডামারা, ছনুয়া, মিনজিরীতলা, সরল, পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, পশ্চিম মনকিচর এলাকায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও এখানকার প্রায় কয়েক হাজার লবণচাষী লবণ উৎপাদনের কাজে নেমেছেন। তাছাড়া বর্তমান বাজারে লবণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি হওয়ায় এখানকার চাষীদের লবণ উৎপাদনে আগ্রহ বেড়ে যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি লবণের মাঠ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। বিগত দিনে উপকূলের অনেক জমি অনাবাদী থাকলেও বর্তমানে লবণচাষীরা লবণ উৎপাদনে প্রায় সব জমি চাষ করছেন। লবণের দাম বেশি হওয়ায় চাষীদের মুখে হাসির ঝলকও দেখা দিচ্ছে। যদি শেষ পর্যন্ত এ দাম অব্যাহত থাকে তাহলে বাঁশখালীর উপকূলীয় কয়েক সহস্রাধিক লবণচাষী তাদের পরিশ্রমের সুফল পাবেন বলে আশা রাখছেন। বর্তমানে সরকার লবণচাষীদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে লবণ আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় চাষীরা তাদের পূর্ণ শ্রম এখন লবণ মাঠে দিয়ে যাচ্ছেন। বাঁশখালীতে উৎপাদিত লবণ বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারাদেশে বাজারজাত করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় তাদের নিজস্ব তদারকির মাধ্যমে লবণ উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। এদিকে শনিবার (৭ জানুয়ারি) এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার বিশিষ্ট লবণ ব্যবসায়ী আবু শামা মোঃ ইউছুফ জনকণ্ঠকে বলেন, বাঁশখালীতে যে লবণ উৎপাদন হয় তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বাইরেও রফতানি করতে পারবে। কিন্তু কতিপয় ব্যবসায়ী ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধির জন্য বাইরে থেকে লবণ আমদানি করে দেশে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার তা কঠোরহস্তে দমন করায় বাঁশখালীতে বর্তমানে অর্ধলক্ষাধিক লবণচাষী ন্যায্যমূল্য ও পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পাবেন এ আশায় লবরেণ মাঠে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
×