ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় উৎসব নেই সোনাকাটায়

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১ জানুয়ারি ২০১৭

আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় উৎসব নেই সোনাকাটায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৩১ ডিসেম্বর ॥ থার্টিফার্স্ট নাইটে তালতলীর সাগর সৈকত সোনাকাটা ইকোপার্ক থাকবে উৎসব বঞ্চিত। আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা আসছে না। বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জের ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ফাতরারচর ও নিশানবাড়িয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বন বিভাগ ও আমতলী উপজেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ২০১১ সালে গড়ে তোলা হয় সোনাকাটা ইকোপার্ক। সড়ক পথে আমতলী থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরত্ব। অপরদিকে কুয়াকাটা থেকে নৌপথে দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। পায়রা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এ সমুদ্র স্পটে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বন বিভাগের বাহারি গাছের সমাহার পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এখানে এসে প্রকৃতির অপার দৃশ্য উপভোগ করে। কিন্তু এখানে থাকার সুব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে পারছে না। প্রকৌশলী এসএম তৈয়বুর রহমান জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে সোনাকাটা ইকোপার্কে থার্টিফার্স্ট নাইট উপভোগ করতে এসেছিলাম কিন্তু এসে দেখি এখানে আবাসনের ব্যবস্থা নেই। তাই থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন না করেই চলে এলাম। কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া থেকে জানান, পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় জমেছে হাজার-হাজার নর-নারীর। বাদ যায়নি শিশু-কিশোর কিংবা তরুণরা। ইংরেজী নববর্ষ ২০১৭ কে স্বাগত জানাতে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে ইতোমধ্যে ভিড় জমেছে অগণিত পর্যটক-দর্শনার্থী। শনিবার বিকেল থেকে পর্যটকবাহী বাসের যেন বহর নেমেছে। সৈকত এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটকের পদভারে। কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল কোথাও কোন সিট খালি নেই। সব আগাম বুক্ড হয়ে গেছে। কুয়াকাটায় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দম্পতির আগমন ঘটেছে। পারিবারিক পার্টির আগমনও ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ কেউ হোটেলে সিট না পেয়ে বেলাভূমে তাঁবু টানিয়ে রাত কাটাতে ও নতুন বছরের প্রথম প্রহর উপভোগ করতে নিয়েছেন প্রস্তুতি। হৈ-হুল্লোড় করে সৈকত মাতিয়ে তুলেছে নবীনরা। মনের আনন্দে ঘুরে দেখছে বৌদ্ধমন্দিরসহ আকর্ষণীয় স্পটগুলো। স্থানীয় শিল্পীরা করেছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। একই স্পটে দাঁড়িয়ে সকালের সূর্যোদয় এবং বিকেলের সূর্যাস্ত দেখার বিরল দৃশ্য অবলোকনে সমাগম ঘটেছে এসব পর্যটক-দর্শনার্থীর। আগতদের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানালেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি মীর ফসিউর রহমান। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ জানান, কোন আবাসিক হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হলে কিংবা পর্যটক-দর্শনার্থীকে হয়রানি করলে তাদের অবহিত করতে বলেছেন। তবে খাবার হোটেলগুলো গলাকাটা বাণিজ্যে নেমেছে বলে আগতদের অভিযোগ রয়েছে।
×