ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাইমারীতে পাসের হার ৯৮.৫১, ইবতেদায়ীতে ৯৫.৮৫

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

প্রাইমারীতে পাসের হার ৯৮.৫১, ইবতেদায়ীতে ৯৫.৮৫

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার শূন্য দশমিক এক শতাংশ কমেছে। তবে তার পরেও বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে পঞ্চম শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহত পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবার পাস করেছে ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। সমমানের মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে পাস করেছে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। পঞ্চম শ্রেণীর এ সমাপনীতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৬ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০জন। এবার সাত বিভাগের মধ্যে ৯৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে বরিশাল, ৬৪ জেলার মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে আছে মুন্সীগঞ্জ। ৫০৮ উপজেলা/থানার মধ্যে ১৭টিতে শতভাগ শিশু পাস করেছে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দুপুর দেড়টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারাদেশের ফল প্রকাশ করেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আসিফ উজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দেশের সর্ববৃহত এ পাবলিক পরীক্ষায় এবার অংশ নিয়েছিল মোট ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৪ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে পাস করেছে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩২ জন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো সবচেয়ে ভাল ফল করেছে বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে কম পাস করেছে সিলেট বিভাগে ৯৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম সুনামগঞ্জে ৯৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে কম পাস করেছে বান্দরবানের রুমা উপজেলায়। সেখানে পাসের হার ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী শিশু শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় ফল লাভ করায় পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকদের নিরলস প্রচেষ্টার কারণেই শিক্ষার্থীরা ভাল করছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের ফল ॥ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার সারাদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) চার হাজার ৫৪৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয় চার হাজার ৩৩২ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে চার হাজার ১৬৫ জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত বছর পাস করেছিল ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
×