স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ এরা কারা? গ্রামগঞ্জে শত শত মানুষ নেমে পড়ছে বা কিলবিল করছে। সৌদি আরবে কাজ দেবার নামে নানান ধরনের লোভনীয় অফার দিয়ে প্রলুব্ধ করছে তারা। সৌদি আরবের শ্রম বাজার উন্মুক্ত হবার সাথে সাথে এই ধরনের দালালের প্রকোপ বেড়ে গেছে গ্রামেগঞ্জে। বিশেষ করে যুবক শ্রেণীদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এসব যুবকের সিংহভাগ অদক্ষ বা কোন ধরনের ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ নেই। এই ধরনের যুবকদের পাঠানোর চেষ্টা করছে এসব গ্রাম্য দালাল। এদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ঢাকার বৈধ লাইসেন্সধারী বায়রা কোম্পানিগুলোর। এরাই কমিশনের লোভ দিয়ে গ্রামে দালাল নামিয়ে দিয়েছে লোক ধরে আনার জন্য। এসব গ্রাম্য টাউট ও দালাল বা গ্রামীণজনপদের বহু যুবক ও অভিভাবককে ঠকিয়ে ইতোপূর্বে বড় অংকের টাকা আত্মসাতের দুর্নাম রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। এদেরকেই ঢাকার বায়রা কোম্পানিগুলো এজেন্ট ধরনের দালাল নিয়োগ করে গ্রামে ছেড়েছে লোক ধরে আনার জন্য।
সৌদি আরবে যাবার জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া রেটের পরিমাণ মাত্র এক লাখ ৬৫ হাজার। কিন্তু গ্রাম ফড়িয়া দালালরা অদক্ষ শ্রমিকদের যাবার ব্যাপারে মাথা পিছু হাঁকছে ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা। বিশাল অংকের এই টাকা দিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে বেতন পাবে ১৫ থেকে বিশ হাজার টাকা। এই বেতনে তাদের কোনদিনও সৌদি যাবার খরচ উঠবে না। তবু তারা সৌদি যেতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এদিকে গ্রামের বহু যুবক হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দালালদের কাছে। এসব বেকার যুবকদের টাকা যোগাড়ে অভিভাবকরা ডিহি-ডাবর ও ফসলের জমি পানির দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। যাদের জমি বিক্রির সামর্থ্য নেই তারা গ্রাম্য সুদখোর মহাজনদের কাছে চড়ামূল্যে টাকা কর্জ করছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: