অর্জনের সোনালি ফসলে ভরে গেছে দেশ ॥ ওবায়দুল কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অর্জনের সোনালি ফসলে ভরে গেছে সোনার বাংলাদেশ। তবে বিপদ যে কোন সময় আসতে পারে। যেমন এসেছিল হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ার হামলায়; সর্বশেষ আশকোনায়, যেখানে যুক্ত হয়েছে নতুন ডাইমেনশন আত্মঘাতী নারী। যা নতুন সমস্যা। নারীদের সঙ্গে অবুঝকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জঙ্গী হামলার এ নতুন বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলতে হবে। সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, বিএনপির মতো দলের আর কিছু বলার নেই। তারা নিজেরাই নিজেদের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে বেপরোয়া হয়ে গেছে। তাদের ঘরে সুখ নেই। তাই গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করা ছাড়া তাদের আর কিছুই করার নেই। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নাসিক নির্বাচন নিয়ে আর কিছু বলবেন না। কারণ এটা নিয়ে যত বেশি বলবেন তত বেশি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন। এ নির্বাচনে সফল নেতৃত্বে যোগ্য প্রার্থী দিয়ে সোনালি ফসল ঘরে তুলেছি। তিনি বলেন, নাসিকে হেরে গিয়ে বিএনপির মাথা ঠিক নেই। সারা দুনিয়ায় যে নির্বাচন দৃষ্টান্ত ও মডেল, তাও নাকি রাষ্ট্রের স্তম্ভ ভেঙ্গে দিয়েছে? বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার বিএনপির অভিযোগকে বানরের সঙ্গীতের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, বিএনপি আজ ব্যর্থ দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনকে মরা গাঙের জোয়ারের সঙ্গে তুলনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বারবার আন্দোলনের কথা বলে। কিন্তু সে আন্দোলন আর হয় না। তারা এই ঈদ, সেই ঈদ, ওই ঈদ ও পরীক্ষার কথা বলে যে আন্দোলনের হুমকি দেয়, সেই বছর আর আসবে না। তাদের মরা গাঙে জোয়ার আসে না। জঙ্গী তৎপরতা দূর করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার শপথ গ্রহণ করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা বেশি দুর্নীতি ও অনিয়ম করে তারাই বেশি কথা বলে। আমাদের নেত্রী এ রকম ছাত্রলীগ দেখতে চান না। তাই তোমরা আজ শপথ করো কোন খারাপ খবরের শিরোনাম হবে না, ইতিবাচক খবরের শিরোনাম হবে। ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারা অনুসারে ছাত্রলীগকে চলতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের কারণে বদনামের ভাগীদার না হয়ে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় আনতে হবে। তিনি বলেন, জীবনে ব্রেকলেস, ব্যর্থ হওয়া যাবে না। হতাশাকে স্থান দিয়ে জীবনে রাজনীতি করা চলবে না। জীবনে বাধা আসবে, তা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনা শুধুমাত্র একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি একজন রাষ্ট্রনায়ক। কারণ রাষ্ট্রনায়ক পরবর্তী প্রজন্মের কথা চিন্তা করেন আর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পরবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবেন। আজ শেখ হাসিনার অবস্থান অনেক উপরে, তিনি বিশ্ব দরবারের অনেক উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে নাট্যব্যক্তিত্ব শমী কায়সার, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা বক্তব্য রাখেন।