ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব্যসাচী দাশ

গসিপ

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

গসিপ

বৈবাহিক ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্যাট নারীর প্রতি বৈষম্য এ আর নতুন কী? অন্যায় আচরণ শারীরিক নির্যাতন সবই হচ্ছে হর হামেশা। কিন্তু যৌন নির্যাতন বলতে আমরা কেবল অবিবাহিত বা কুমারী জীবনে নিগ্রহকে বুঝি। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানে নিগ্রহের শিকার হলে আমরা সরব প্রতিবাদ জানাই। প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক বিচারও করি। কিন্তু নারী যখন বিবাহিত জীবনে যৌন অত্যচারের শিকার হন, তখন কি আর আমরা খবর রাখি, না কোন প্রতিবাদ করি! শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সকল নারীই মুখ বুঝে সহ্য করে বিবাহিত জীবনের সকল যৌন অত্যাচার। দাম্পত্তের কারণে নীরবে সহ্য করে দিনের পর দিন। মুখ খুলতেও নারজ। কিন্তু এটা অন্যায়, ভারি অন্যায় স্ত্রীর অসম্মতিতে মিলনে বাধ্য করা। এটা বৈবাহিক ধর্ষণ। কথাগুলো প্রতিবাদের সুরে উচ্চারণ করেছেন বলিউডের হার্টথ্রব নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ। সম্প্রতি মুম্বাই উইইউনাইট কনফারেন্সে এর মঞ্চে। বিনোদন দুনিয়ার বাইরে আগে কখন এত সচেতন দেখা যায়নি ক্যাটকে। একই সঙ্গে সচেতন নারী হিসেবে বৈবাহিক ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতন ও সোচ্চার হতে নারীদের আহ্বান জানান। ডিনারে ডেট হৃত্বিক-সুজান! অবাক হলেন! বিস্ময়ে চোখ কপালে। না সে রকম কিছুই না। স্রেফ বাবা-মার দায়িত্ব থেকে ছেলের জন্মদিনে সম্প্রতি মুম্বাইয়ের রেস্তরাঁয় তাদের এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে বিচ্ছেদের সঙ্কট থাকলেও সন্তানদের জীবনে এর কাল ছায়া কখন পড়তে দেননি এই এক্স দম্পতি। তাই তো আলাদা হওয়ার পর একাধিকবার সন্তাদের প্রয়োজনে একত্রিত হয়েছেন। গিয়েছেন স্কুলে প্যারেন্ট-টিচার মিটিংও। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা যেমন ছিল আলোচিত, তেমনি বাবা মা হিসেবে হৃত্বিক-সুজানের দায়িত্ব-কর্তব্যও চোখে পড়ার মতো। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী বিচ্ছেদ তো আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর কোন খারাপ প্রভাব আমাদের সন্তানদের কেন স্পর্শ করবে? এক্ষেত্রে দুজনের মতামতও অভিন্ন। যে কারণে ছেলেদের যে কোন প্রয়োজনে তাদের এক হওয়া খুব স্বাভাবিক। যাকে বলে সন্স ইজ দ্য ফার্স্ট প্রায়োরিটি! পিটের ৫৩ বিনোদন দুনিয়ার আলোচিত সুপারস্টার। গোল্ডন গ্লোব এ্যায়াড জয়ী অভিনেতা। হলিউড হাটথ্রব। উইলিয়াম ব্রাড পিট। গত ১৮ ডিসেম্বর ছিল তার ৫৩তম জন্ম দিন। ১৯৮৭ সালে ডালাস নামক টিভি সিরিয়াল। ১৯৯১ তে পথ চলচ্চিত্র অভিনয়। ১৯৯৪ তে বিগ বাজেটের সিনেমা ইন্টাভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ারের মূল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বনে জান বিশ্বব্যাপী হলিউড সুপারস্টার। এই সিনেমা সোনালি খেতাব যোগায় হয়ে যান উইলিয়াম থেকে ব্রাড পিট। চলচ্চিত্রের এক দামী ব্র্যান্ড। নারীদের কাছে সব থেকে কাক্সিক্ষত সেলিব্রেটি বিশ্বব্যাপী তরুণদের কাছে ফ্যাশন আইকন। ব্রাড সব থেকে আলোচিত হয়েছেন ব্যক্তিগত জীবনে। সুপারস্টার অভিনেত্রী এ্যানঞ্জেলীনা জলির সঙ্গে দীর্ঘ সময় লিভ টুগেদার অতপর বিয়ে। সঙ্গে দত্তক নেয় একাধিক শিশু। এ সবই ছিল ব্রাডে ৫২ বছর জীবনের মুখরিখ ঘটনা। ব্রাড এখন ৫৩ বছরের নিঃসঙ্গ মানুষ। সংসার নেই সন্তান নেই। আছে কেবল তার রঙিন পর্দা আলোচিত জীবন।
×