ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রীক পুরাণের হাঙরের খোঁজ

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

গ্রীক পুরাণের হাঙরের খোঁজ

যারা গ্রীক পুরাণের আদ্যপান্ত পাঠ করেছেন তারা হয়ত নামটি জানতে পারেন। গ্রীক পুরাণে শিমেরা বা ভুতুড়ে হাঙর নামে হাঙরের একটি প্রজাতির নাম উল্লেখ ছিল। তীক্ষè ফলার মতো এটির সামনের দিকে বেরিয়ে এসেছে নাকটা। চোয়ালের আকার আর মাথার চারদিকে ঘিরে থাকা ছোপগুলো যেন কোন সুদূর প্রাগৈতিহাসিক সময়ের চিহ্ন বহন করছে। এই হাঙরের আরও বৈশিষ্ট হচ্ছে এটির চোখ ঘোলাটে। এই প্রজাতির স্ত্রী হাঙরের যৌনাঙ্গ থাকে মাথায়। আর ডানায় থাকে বড় আকারের পাখনা। আজ থেকে ৩০ কোটি বছর আগে গভীর সমুদ্রে এই জাতীয় হাঙরের বিচরণ ছিল। বিজ্ঞানীরা এতদিন শুধু এই জাতীয় হাঙরের নামই জেনে এসেছেন। এটি সরাসরি দেখতে পাননি। এটি দেখার জন্য যুগযুগ ধরে গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়েছেন তারা। কিন্তু দেখা পাননি। তবে খবর হচ্ছে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান হ্যাম্পশায়ারের গভীর সমুদ্রে এই ভুতুরে হাঙরের দেখা মিলেছে। গ্রীক পুরানে বর্ণিত ওই হাঙরের সঙ্গে এটির হুবহু মিল রয়েছে। এই হাঙরের সাঁতার কাটার একটি দৃশ্য সম্প্রতি অনলাইনে পোস্ট করে ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরি বে একুুরিয়াম রিসার্স ইনস্টিটিউট। অল্প সময়ের বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রাণী বিজ্ঞানীরা এই হাঙরের ছবি দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করে। সমুদ্রের ৬ হাজার ৭শ’ ফুট ওপর থেকে এই হাঙরের সাঁতারের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়। ভুতুরে হাঙর নামের পাশাপাশি এটিকে র‌্যাটফিস, র‌্যাবিটফিস ও স্পোকফিস নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এটি যে প্রকৃতপক্ষে গ্রীক পুরানের বর্ণিত ওই হাঙর প্রজাতির এর স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে মন্টেরি বে একুুরিয়াম রিসার্স ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলছেন, এই হাঙর আকারে অনেক বড়। দ্রুত চলতে পারে। এটি অত্যন্ত ক্ষিপ্রগতিতে শিকার ধরে। -ডিসকভারি নিউজ
×