ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে মোজাম্মেল হক

আদর্শের ভিত্তিতে নয় জিয়া মুক্তিযুদ্ধে যান অবস্থার প্রেক্ষিতে

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬

আদর্শের ভিত্তিতে নয় জিয়া মুক্তিযুদ্ধে যান অবস্থার প্রেক্ষিতে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অবস্থার প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, আদর্শের ভিত্তিতে নয় বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী জিয়াউর রহমানের কর্মকা-ই প্রমাণ করে তিনি প্রকৃত পক্ষে একজন আদর্শিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে খুনী খন্দকার মোস্তাকের (মোশতাক) দোসর হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে লুজ কনফেডারেশন গঠনের চক্রান্তেও জিয়া জড়িত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মেজর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ও পরে ‘জেড’ ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন। তবে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথা মুজিবনগর সরকারের অধীনে যুদ্ধ না করে ওয়্যার কাউন্সিল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ করার প্রস্তাব করায় প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করে পুনরায় সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে খুনী খন্দকার মোস্তাকের (মোশতাক) দোসর হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে জিয়াউর রহমান লুজ কনফেডারেশন গঠনের চক্রান্তে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিদেশ দূতাবাসে চাকরি প্রদান করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার বন্ধ করার জন্য জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ আইন সভায় অনুমোদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলীমসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে এবং ধর্মীয় ভিত্তিক রাজনীতি চালু করে প্রমাণ করেছেন যে, তিনি প্রকৃত পক্ষে একজন আদর্শিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। পাক-হানাদার বাহিনীর সমর্থক ছিলেন বলেই ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে ‘সোয়া (সোয়াত) জাহাজ’ হতে পাকিস্তানী সমরাস্ত্র খালাস করার জন্য উদ্যোগী ছিলেন। মেজর জিয়াউর রহমান অবস্থার প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে করেন, আদর্শের ভিত্তিতে নয়। জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই ॥ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী জানান, জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই শুরু হবে। জানুয়ারির প্রতি শনিবারে চলবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। ভারতীয় তালিকাভুক্ত ও ২০০১ সালে লাল মুক্তিবার্তায় যাদের নাম আছে তাঁরা বাদে যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য আবেদন করেছেন তাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে। আর মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে একটা বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হলে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ১৩ বছর বয়স হতে হবে।
×