ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরণখোলায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও এহসান সোসাইটি

প্রকাশিত: ২২:৩০, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

শরণখোলায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও এহসান সোসাইটি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ।। বাগেরহাটের শরণখোলায় অসহায় শত শত নারী ও পুরুষদের ভাগ্য উন্নয়ন সহ প্লট বরাদ্ধ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে এহসান সোসাইটি নামের একটি বে-সরকারি এনজিও। বুধবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাব মিলানয়তনে আহুত এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মকবুল খাঁনের ছেলে কৃষক কাওসার খান এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১১ সালে তার এলাকার অসহায় দিন মজুর শত শত নারী পুরুষদের আট বছর মেয়াদী ডিপিএস এ দ্বিগুন ও জমানো টাকায় ব্যাপক মুনফাসহ প্রত্যেকে জেলা শহরে প্লট বরাদ্ধ দেয়ার মিথ্যা প্রলোবন দেখিয়ে বে-সরকারী সংস্থা এহসান সোসাইটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারের দর্জি পট্টি এলাকায় হাজী আঃ রহিম কারীর একটি বিল্ডিং এ গত কয়েক বছর ধরে ওই সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। গত ১৫ বছরে ওই সংস্থাটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রাহকদের জমানো টাকা ফেরত পেতে শরণখোলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তর সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা শামছু মিস্ত্রির ছেলে মোঃ জাকারিয়া মিস্ত্রি ও তার সহযোগী উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের আর,কে,ডি,এস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোঃ ফুলমিয়া জোমাদ্দারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই দুই প্রতারক বিষয়টি আমলে না নিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপাস্থিত প্রতারিত গ্রাহক রেহেনা বেগম, আসমা বেগম, নিলুফা বেগমসহ আরো অনেকে বলেন, তাদের ডিপিএস এর মেয়াদ গত ৫/৬ বছর পূর্বে পূর্তি হলেও এহসান সোসাইটির অসাধু কর্মকর্তারা বীমার দাবি পরিশোধ না করে রাতের আধাঁরে পালিয়ে গেছে। তারা ওই সংস্থার শরণখোলায় কর্মরত জাকারিয়া ও ফুলমিয়ার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি সহ জমানো অর্থ ফেরত পাওয়ার আকুতি জানান ওই সংবাদ সম্মেলনে।
×