ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত

আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাপারে অস্ট্রেলীয় সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে রাজধানী ক্যানবেরায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো পার্লামেন্ট নিরাপত্তা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে । খবর বিবিসির। দুই বিক্ষোভকারী ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট হাউসের দেয়ালে উঠে ‘এই কুখ্যাত শিবির এখনই বন্ধ কর’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলিয়েছে। যেসব আশ্রয়প্রার্থী নৌকায় করে অসে অস্ট্রেলিয়া তাদের পাপুয়া নিউ গিনি ও নাউরুর উপকূলীয় বন্দী শিবিরে পাঠায়। সরকার মনে করে তাদের এই নীতির কারণে সাগর পথে অভিবাসন প্রত্যশীদের রোধ করা গেছে। কিন্তু সমালোচকরা বলেন, এটি অমানবিক। বৃহস্পতিবার আরও ১৩ বিক্ষোভকারী রক্তের মতো রঙের একটি পুকুরে লাল প্ল্যাকার্ড চুবিয়ে বিক্ষোভ করে। গত মাসে অস্ট্রেলীয় সরকার নাউরুর বন্দী শিবির সম্পর্কে মানবাধিকার রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে। মানবাধিকার রিপোর্টে নাউরুর ক্যাম্পর্কে উন্মুক্ত কারাগারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। আশ্রয়প্রার্থীদের নৌকা ফেরত পাঠানোর বিতর্কিত নীতি ও উপকূলে আটক বন্ধ করতে বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ ব্যানারে আহ্বান জানায়। বিক্ষোভকারীরা প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে ছিল। প্রায় ৩০ বিক্ষোভকারীদের একটি দল সেøাগান দেয় আটক নীতি হচ্ছে ‘পরিবারসমূহকে আলাদা করা’ এবং ‘অসহায় মানুষ হত্যা’। পার্লামেন্টের পাবলিক গ্যালারির রেলিং ধরে ওঠার জন্য বিক্ষোভকারীদের হাতে গ্লু লাগানো ছিল। তাদের ঠেকাতে নিরাপত্তা রক্ষীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা আজ এখানে কারণ আপনি নির্মমতায় বিশ্ব নেতা হয়েছেন। সরকার ও বিরোধী দল লেবার পার্টি উভয়ই আশ্রয়প্রার্থী নীতি সমর্থন করে। বুধবার প্রধান দলগুলো বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়ায় নিন্দা করে। বিরোধী নেতা বিল শর্টেন ভালভাবে বিক্ষোভ সামাল দেয়ার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। ছুরিকাঘাতে ফরাসী পর্যটক নিহত অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত একটি এলাকার মহাসড়কে ছুরিকাঘাতে ফরাসী এক পর্যটক নিহত হয়েছে। পুলিশ বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে। বুধবার বিকেলে এলিস স্প্রিংস থেকে প্রায় এক ঘণ্টা দূরত্বে স্টুয়ার্ট হাইওয়েতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় লোকটির সঙ্গে তার স্ত্রী ছিলেন। বিনা উসকানিতে এ হামলা চালানো হয়। ডিটেকটিভ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ট্রাভিস উরস্ট বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারী আইলেরোন রোডহাইস থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দূরে দুই ফরাসী পর্যটকের ওপর হামলা চালায়। পর্যটকরা স্বামী-স্ত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনা উসকানিতে হামলাকারী পুরুষ পর্যটকের গলায় ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
×