ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

নবী-তাসকিন নৈপুণ্যে স্বস্তির জয় চিটাগাংয়ের

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৯ নভেম্বর ২০১৬

নবী-তাসকিন নৈপুণ্যে স্বস্তির জয় চিটাগাংয়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথমে ব্যাট হাতে তা-ব চালালেন আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। পরে বল হাতে পেসার তাসকিন আহমেদ গতির ঝড় তুলে তছনছ করে দিলেন রাজশাহী কিংসের ব্যাটিং লাইন। ফলে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল টি২০) টানা চার ম্যাচ হারের পর ১৯ রানে স্বস্তির জয় পেল চিটাগাং ভাইকিংস। শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে চিটাগাং। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে ১৭১ রান করতে সক্ষম হয় রাজশাহী কিংস। চিটাগাংয়ের পক্ষে এনামুল হক বিজয় ৫০ ও নবী মাত্র ৩৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর তাসকিন মাত্র ৩১ রানে ৫ উইকেট শিকার করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৬ ম্যাচে ২ জয়ে চিটাগাং ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন ৫ নম্বরে, ৪ ম্যাচে তৃতীয় হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে ৬ নম্বরে রাজশাহী। জয় দিয়ে বিপিএল শুরুর পরই দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় চিটাগাংয়ের। ঢাকা পর্বে টানা তিন ম্যাচে হেরে তামিম ইকবালের দল বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে। কিন্তু সেখান থেকে উত্তরণের প্রত্যয় নিয়ে বৃহস্পতিবার নিজেদের সাগরিকার মাঠে নেমেও পরাজয় দেখে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে। টানা পরাজয়ের চতুষ্টয় পূরণ হয় চিটাগাংয়ের। শুক্রবারও শুরুতেই টস হার এবং ব্যাট করতে নেমে ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়, ম্যাচ শেষের আগেই যেন আরেকটি পরাজয়ের হাতছানি। কারণ দলের সেরা ৪ ব্যাটসম্যান বিদায় নিয়েছেন। ১০ ওভার পেরিয়ে গেছেÑ চিটাগাংয়ের স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ৬৯। কিন্তু তেমনটা হলো না। নবী ব্যাট হাতে নামার পর বদলে গেল সবকিছু। এনামুলের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। এটি বিপিএল ইতিহাসের সেরা পঞ্চম উইকেট জুটির রেকর্ড। এনামুল ৪০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রান করে ফিরে যান। নবীকে থামানো যায়নি, যে কোন পর্যায়ের টি২০ ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাটিং ঝড়ে পরের ১০ ওভারে আরও ১২১ রান এবং শেষ ৫ ওভারে ৭৬ রান তুলে ৫ উইকেটে ১৯০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চিটাগাং। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে ইংলিশ অলরাউন্ডার দারুণ বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। নবী ৩৭ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাব দিতে নেমে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় রাজশাহী। মুমিনুল হক ১৪ বলে ৪ চারে ২২ রান করে তাসকিনের বলে সাজঘরে ফেরেন। প্রথমবার সুযোগ পাওয়া জুনায়েদ সিদ্দিকীও ২৮ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রান করে আউট হন। এরপর ফর্মের তুঙ্গে থাকা সাব্বির ৩০ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ এবং উমর আকমল ১২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান করে ফিরে গেলে জয় পাওয়া হয়নি রাজশাহীর। এর পেছনে মূল বাধা ছিলেন তাসকিন। ভয়ঙ্কর বোলিং করে দ্বিতীয় স্পেলে তিনি ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করলে ৯ উইকেটে ১৭১ রান করতে সক্ষম হয় রাজশাহী।
×