ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাটপণ্য রফতানি

বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারে ভারতকে আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারে ভারতকে আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাটজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য ভারতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পাটপণ্যের ওপর এ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করা খুবই দুঃখজনক। আমি মনে করি ভারত সরকার তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেবে। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আমরা আমাদের রফতানি বৃদ্ধি করতে চাই। তাই এই বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারে ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি অন ইম্পোর্টস অব জুট এ্যান্ড প্রোডাক্টস ফ্রম বাংলাদেশ বাই ইন্ডিয়া : চ্যালেঞ্জস এ্যান্ড ওয়ে আউট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে। আমাদের দেশের পাটের ওপর আরোপ করা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করলে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আমরা ব্যবসা খাতে উন্নতি করতে চাই। এজন্য ভারতকে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সচেতন থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, ভারত অনেক বড় একটি দেশ। তাই ভারতকে আমাদের পাশে এগিয়ে আসতে হবে। তোফায়েল বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের ভারতে পাটজাত পণ্যের রফতানির প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩৩.৮০ শতাংশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটপণ্যকে কৃষিপণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে এর উন্নয়ন কিভাবে করা যায় তার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের দেশে যেসব পাটশিল্প কারখান বন্ধ রয়েছে তাও নতুন করে খোলার চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে আমরা অর্জন করব ৫০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের পাট বিশ্ববাজারে সমাদৃত। তাই আমরা পাটজাত শিল্পকে আরও বেশি বিকশিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি। এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে, দাবি করতে হচ্ছে- যা আসলে বিব্রতকর। মাত্র ১৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি পণ্যের ওপর এ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি আরোপ করা অত্যন্ত লজ্জাকর। এতে ভারতেরও সম্মানহানি ঘটছে।
×