ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণকে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব ॥ সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১০ নভেম্বর ২০১৬

জনগণকে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব ॥ সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের সময় জনগণকে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালনের আশ্বাস দিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। একইসঙ্গে ডিএসসিসির এক ইঞ্চি রাস্তাও নষ্ট থাকতে দেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন এবং রাস্তার সমস্যা থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই মেয়রকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি। বুধবার বিকেলে নগরীর মাদারটেকের আব্দুল আজিজ স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে গত এক থেকে দেড় বছর ধরে ঢাকা ওয়াসার পানি পাচ্ছেন না রাজধানীর পূর্ব মাদারটেকবাসী। যে কারণে তাদের নিয়মিত কাজ কর্মে প্রতিনিয়তই ব্যাঘাত ঘটছে। মেয়রের কাছে এমন নানা দুর্ভোগ ও অভিযোগ তুলে ধরেন এলাকাবাসী। এ সময় অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ গোলাম হোসেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, গোলাম আশরাফ তালুকদার, ফরিদউদ্দিন আহমেদ রতন, এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ, মাকসুদ হোসেন মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেয়র ও নাগরিকদের মাঝে প্রশ্নোত্তর পর্বে মাদারটেকের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মোমিন আলী পানির প্রকট সমস্যার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমরা মাদারটেকবাসী গত এক থেকে দেড় বছর ধরে ওয়াসার পানি পাই না। ওয়াসার লাইন জ্যাম হয়ে গেছে। খুব আস্তে আস্তে পানি আসে। যেটুকু আসে তাও দুর্গন্ধে ভরা। পান করা যায় না। এ সমস্যার সমাধান করে দেন। জবাবে মেয়র বলেন, ‘আগামীকাল সকালের মধ্যে ওয়াসা তা ঠিক করে দেবে। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সাঈদ খোকন বলেন, আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি। আজ আপনার মেয়র আপনার সামনে হাজির, আপনি নির্দেশ দেবেন, আমি মেয়র তা পালন করব। আমরা এসেছি আপনাদের মনের কথা শুনতে। আপনাদের সমস্যা সমাধান করতে। যেসব সমস্যা আজই এই সভা থেকে সমাধান করা যায় সেগুলো এখন থেকেই করব। আর যেগুলো সময়ের প্রয়োজন সেগুলো সময় নিয়েই করব। কোন সমস্যা থাকবে না। সমাধান করবই ইনশাআল্লাহ। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনারা জানেন, আজ থেকে এক বছর সাত মাস পূর্বে আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা নিয়েই ডিএসসিসির দায়িত্বভার নিয়েছি। এই এলাকার বিভিন্ন বাসায় গিয়ে আমি ভোট প্রার্থনা করেছিলাম। এলাকার সাধারণ জনগণ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি। অনেক সমস্যা আমি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করতে পারি। আমার চেষ্টার বিন্দুমাত্র ঘাটতি থাকে না। তিনি বলেন, আমরা এসেছি আপনাদের মনের কথা শুনতে। আপনাদের সমস্যা সমাধান করতে। যেসব সমস্যা আজই এই সভা থেকে সমাধান করা যায় সেগুলো এখন থেকেই করব। আর যেগুলো সময়ের প্রয়োজন সেগুলো সময় নিয়েই করব। কোন সমস্যা থাকবে না। সমাধান করবই ইনশাআল্লাহ। মেয়র বলেন, আমি বলেছিলাম, ‘আমি যুবক, আমি কর্মঠ। কাজ করার নিয়ত আমার রয়েছে। আমাকে ভোট দিন। আপনারা দিয়েছেন। এখন আপনাদের দেয়ার পালা। মাত্র ৪২ স্কয়ার কিলোমিটারের শহরে দেড় কোটি মানুষের বসবাস। এই ঘনবসতিপূর্ণ স্থানের মানুষকে সেবা দিতে হয় আমাকে। আপনারা সবাই এক একজন মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করুন।’ মেয়র বলেন, আমি দায়িত্বভার নেয়ার পর অনেক অর্থের অভাব ছিল। অর্থের অভাবে বিদ্যুতের লাইন ডিসকানেক্ট করতে গিয়েছিল বিদ্যুত বিভাগের কর্মীরা। সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে নগর ভবনে এসেছি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোঃ গোলাম হোসেন দাবি রেখে বলেন, অনেক সরকার আসে, আবার সরকার যায়। কিন্তু আমাদের এলাকার উন্নয়ন হয় না। আমি বাসাবোর বৌদ্ধমন্দির থেকে শুরু করে বেগুনবাড়ি ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটির ৬০ ফুট করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
×