বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেছেন, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চিকিৎসকদের কাছে রোগীরা শুধু চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন না। আশ্রয়ের জন্যও আসেন। কারণ এ ধরনের রোগীরা খুবই অসহায় থাকে। তাই মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চিকিৎসকদের একটু বেশি হাসি-খুশি ও অধিক ধৈর্য থাকাটাই স্বাভাবিক। যাতে রোগীরা প্রাণ খুলে চিকিৎসকের কাছে রোগীর সমস্যার কথা বলতে পারেন।
প্রকৃতপক্ষে, দেশের ৮০ ভাগ মানুষই জানেন-ই না বাংলাদেশে কি কি চিকিৎসাসেবা বিদ্যমান রয়েছে। সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বি ব্লকের ডাঃ মিল্টন হলে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের যৌন সমস্যা, যৌনরোগ, যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিকের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সেক্সচুয়াল ডিসফানকশন : এ হিডেন চাপ্টার ইন সাইকিয়াট্রি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ডাঃ এএসএম জাকারিয়া (স্বপন)। সভাপতিত্ব করেন মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ ঝুনু শামসুন নাহার।
ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে ॥ বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেছেন, নানা কারণে বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। তবে সে তুলনায় চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা সীমিত। তারপরও যতটুকু সাধ্য ও সুযোগ রয়েছে তা দিয়েই সমন্বিতভাবে রোগীদের সঠিক চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। সোমবার, বিএসএমএমইউর ডি ব্লকের ১১ তলায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এ্যান্ড এলায়েড সায়েন্সের (এনআইএনএমএএস) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল ফিজিক্স এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল ফিজিক্স দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। -বিজ্ঞপ্তি