ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করায় আসাদের তীব্র নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের

অস্ত্রবিরতি শেষে আলেপ্পোয় ফের ভয়াবহ সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

অস্ত্রবিরতি শেষে আলেপ্পোয়  ফের ভয়াবহ সংঘর্ষ

সিরিয়ার আলেপ্পো নগরীতে শনিবার তিন দিনের অস্ত্রবিরতি শেষ হওয়ার পর সেখানে সরকারী ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। একইদিনে হোয়াইট হাউস ২০১৪ ও ’১৫ সালে সিরীয় জনগণের ওপর তিনটি রাসায়নিক হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ সিরীয় সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের নিন্দা জানিয়েছে। ওয়াশিংটন বলেছে, সিরিয়া এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। খবর এএফপির। রাশিয়া গত সপ্তাহে একতরফা অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। জাতিসংঘ বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকা থেকে আহত বেসামরিক লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিতে পারার আগেই এ অস্ত্রবিরতি শেষ হয়। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বিদ্রোহী অধ্যুষিত সালাদ্দিন ও আল-মাশহাদ এলাকায় গোলাবর্ষণে তিনজন আহত হয়েছে। অস্ত্রবিরতির পর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শেখ সাঈদ এলাকায় প্রথম বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানেও প্রচ- লড়াই চলছে। কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহ গোলাবর্ষণ ও তিন মাস ধরে সরকারের অবরোধ চলা সত্ত্বেও বাসিন্দা কিংবা বিদ্রোহীরা কেউই অস্ত্রবিরতির সময় এলাকা ছাড়তে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও মস্কোর আহ্বানে সাড়া দেয়নি। সেনাবাহিনী এলাকা ছাড়ার জন্য আটটি করিডর খুলে দেয়। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকজন একটি পথ দিয়ে এলাকা ছাড়তে পেরেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অস্ত্রবিরতির সময় নগরীতে মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে না পারার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ জানায়, নিরাপত্তার নিশ্চয়তার অভাবে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা বিলম্ব করতে তারা বাধ্য হয়েছে। বিদ্রোহী সংগঠন ফাস্তাকিম গ্রুপের কর্মকর্তা জাকারিয়া মালাহিফজি বলেন, অল্পসংখ্যক মানুষের একটি দল করিডর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই এলাকায় গোলাবর্ষণ করা হয়। ফলে তারা করিডর পার হতে পারেনি। বেসমারিক প্রতিরক্ষা গ্রুপ হোয়াইট হেলমেটসের স্বেচ্ছাসেবী ও আলেপ্পোর বাসিন্দা ইসমাইল আল-আব্দুল্লাহ বলেন, অস্ত্রবিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি রণাঙ্গনে বোমা বর্ষণ ও স্নাইপারদের গুলি করতে দেখেছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক শিষ্টাচার লংঘন এবং রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করায় আসাদ সরকারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। সিরীয় সরকার নিজ জনগণের বিরুদ্ধে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত ক্লোরিন গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব- ২১১৮ লঙ্ঘন করেছে। প্রাইস হুঁশিয়ার করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সিরিয়ার এসব কর্মকা- আমলে নিচ্ছে। জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন যৌথ তদন্তে নয়টি রাসায়নিক হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তিনটি হামলার জন্য সিরীয় সরকার ও একটি হামলার জন্য জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করা হয়েছে।
×