ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ই-কমার্সে বিক্রি বাড়ছে ইলেক্ট্র্রনিক্স পণ্যের

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

ই-কমার্সে বিক্রি বাড়ছে ইলেক্ট্র্রনিক্স পণ্যের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন কেনাবেচা ই-কমার্স। শুরতেই ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ই-কমার্স সেবা আরও গতিশীল করতে শীঘ্রই ই-প্লাজা চালু করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। জানা গেছে, ২০১৫ সালের নবেম্বরে ই-কমার্স কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালটন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজে ই-কমার্স সাইটের উদ্বোধন করেন। প্রথম দুই মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালু ছিল। বর্তমানে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মাসেই বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে। ই-ক্যাবের (ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি রাজীব আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা সম্প্রতি ব্যাপক প্রসার লাভ করছে। গবেষণা না থাকায় সঠিক সংখ্যা বলা না গেলেও প্রায় এক হাজারের মতো ই-কমার্সের ওয়েবসাইট রয়েছে বাংলাদেশে। অল্পদিনের মধ্যে খুব ভাল করেছে ওয়ালটন। এছাড়া একক ব্র্যান্ড হিসেবে আড়ং, ফুড পান্ডা, প্রাণ, নিটোলও ভাল করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ই-কমার্সে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। ধারণা করা হচ্ছে, টাকার অঙ্কে অন্য সকল পণ্যের ক্ষেত্রেও একক ব্র্যান্ড হিসেবে শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন পরিসংখ্যান না থাকায় বিষয়টি ধারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ওয়ালটন আইটি বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র এ্যাডিশনাল ডিরেক্টর লিয়াকত আলী বলেন, গ্রাহকদের হাতের নাগালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উচ্চমানসম্পন্ন পণ্য সহজে পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গ্রাহকরা দেশের যে কোন জায়গা থেকে ই-কমার্সের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্য কিনতে পারছেন। মাগুরায় পেঁপে চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ মাগুরায় পেঁপে চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষকরা পেঁপে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে উৎপন্ন পেঁপে মাগুরার চাহিদা মিটিয়ে বরিশাল, ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় চালান হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় ৪৯৮ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৯৬ হেক্টর, মহম্মদপুরে ১৫ এবং শালিখায় ১২ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার মেট্রিকটন। অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভজনক বলে এর চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জেলার চারটি উপজেলা সদর, শ্রীপুর, মহম্ম্দপুর ও শালিখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষ করেছেন। জেলার জমি পেপে চাষের জন্য খুবই উপযোগী। পেপে চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি। বাজারে পেঁপের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পেঁপে বিক্রি করতে কৃষকদের কোন সমস্যা হয় না বলে কৃষকরা পেঁপে চাষে ঝুঁকে পড়েছে। জেলার উৎপন্ন পেঁপে মাগুরার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চালান হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমণ (৪০ কেজি) পেঁপে পাইকারি ২৫০ টাকা খেকে ৩০০ টাকা এবং খুচরা প্রতি কেজি ১৫ টাকা খেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করে। পাইকারারা বাগান থেকে পেঁপে ক্রয় করে ট্রাক যোগে বরিশাল, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চালান দিচ্ছেন। বাগান থেকে পেঁপে ছিঁড়ে প্রায় ২ হাজার কৃষকের মৌসুমী কর্মসংস্থান হয়েছে।
×